অবতক খবর,২৫ মার্চ: হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রে হরিণঘাটা পৌরসভা নির্বাচনের দু নম্বর ওয়ার্ড বিজেপি প্রার্থী হয়ে লড়েছিলেন সুরেশ সিকদার। যদিও তিনি পরাজিত হয়েছেন শাসকদলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার তরুণ নেতা রাকেশ পারুইয়ের কাছে।
কিন্তু আলোচ্য বিষয় হল, হরিণঘাটা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড ভোটের দিন সকাল থেকেই আলাদাভাবে আলোচ্য বিষয় এবং আকর্ষণীয় ছিল। কারণ একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিরোধী প্রার্থীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে।
এভাবে বিরোধীদলের এজেন্টকে মারধর ও ভোটকেন্দ্রে বসতে না দেওয়া তথা একাধিক অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিলেন সিপিএম,বিজেপি প্রার্থীরা। যদিও পরবর্তীকালে সবই মিথ্যা ভাবে সাজানো বলে দাবি করেছিলেন শাসক দলের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী।
হরিণঘাটা পৌরসভা নির্বাচনে সাধারণ মানুষ ঠিকমতো তার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত প্রতিনিধিকে বেছে নিতে পারছেন না যেমন ঠিক, তেমনি সকাল থেকে ছাপ্পা, লুট,সন্ত্রাস, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা সহ একাধিক অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতা সুরেশ সিকদার। শুধু তাই নয়, প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও একরাশ ক্ষোভ তিনি নির্বাচন কমিশন ও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে উগরে দেন।
এদিন ভোটদাতারা ঠিকমত ভোট দিতে পারছেন না শুধু তাই নয়, একই ব্যক্তি বারবার আঙ্গুলের ছাপ লাগিয়ে কিংবা আধার কার্ড দেখিয়ে ভোট দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বহিরাগতরা এসে সকাল থেকে বুথদখল করে নিচ্ছে,এইসব নিয়ে
সরব হয়েছিলেন তিনি।
যদিও দু নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিকভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গণতন্ত্রকে বাধা দিচ্ছে এ অভিযোগ করেন। তারপরে তাকে দেখা গেল রবীন্দ্র মোহনদাস প্রাথমিক বিদ্যালয় সকাল দশটা নাগাদ। ভোট ঠিকমতো না হওয়ার কারণেই শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে ইভিএম ভেঙে দিলেন তিনি। যার ফলে তাকে নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী ও সহকারী ভাবে গণতন্ত্র প্রক্রিয়াকে লুন্ঠন করেছেন তিনি একাধিক ভাবে। তাকে নির্বাচন কমিশনের আওতায় থাকা একাধিক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। হরিণঘাটা থানা প্রশাসনের আধিকারী তরফ থেকে যদিও তিনি ২৪ দিন পর কল্যাণী মহাকুমার এর কাছ থেকে ব্যক্তিগত জামিন পান এই বিজেপি নেতা সুরেশ সিকদার।
আনুষ্ঠানিকভাবে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি রামাপদ দাসের উদ্যোগে উপস্থিত হয়েছিলেন এই দিন হরিণঘাটার বিজেপি নেতা সুরেশ সিকদার। তাকে জেলা কমিটি ও জেলা সভাপতি এবং রাজ্য কমিটির একাধিক নেতৃত্ব হাত ধরে সম্মান জ্ঞাপন করা হয়।
মালা উত্তরীয় পরিয়ে তাকে সম্মান দেয়া হয়। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে তিনি এও বলেন এই লড়াই হরিণঘাটা সাধারন মানুষের ক্ষেত্রে আমি আমি তো কাল অব্দি শাসকদলের বিরুদ্ধে লড়ে যাবো, যতদিন না তারা সঠিকভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় তারা নির্বাচনে কায়দায় তাদের জনপ্রতিনিধিকে সঠিকভাবে পাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে।