অবতক খবর,১১ আগস্ট,বনগাঁ: বনগাঁয় বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে এলেন রাজ্য নেতা জয় প্রকাশ মজুমদার।বুধবার দুপুরে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা অফিসে স্বাস্থ্য সেবা কর্মসূচী উপলক্ষ্যে স্থানীয় কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে করেন তিনি।

সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,
প্রত্যেকটি বুথে দুই থেকে তিনজন হেল্থ ভলান্টিয়ার তৈরি করা হবে।
তাদের কাজ হবে বুথের বসবাসকারী নাগরিক ও ভোটারদের করোনা সম্পর্কে অবহিত করা।
টিকাকরণের ব্যাপারে তাদেরকে জানানো এবং নাগরিকদের সুবিধা অসুবিধায় তাদের পাশে থাকা।
সব বুথে আমাদের লোকেরা হেল্থ ভলেনটিয়ার স্কিম চালু করবে। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই পরিকল্পনা।

তৃণমূলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,এই কার্যক্রমে আমরা আশা করব তৃণমূলী সন্ত্রাস এসে না পৌঁছায়। রাজ্যে
টিকা চুরি চলবে, জাল টিকা চলবে, মানুষকে বিপদে ফেলা চলবে অথচ তারা যেন না বলে বিজেপির হেলথ ভলান্টিয়ার চলবে না।

বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক সভায় কয়েকজন এমএলএ সহ একাধিক নেতাদের অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বনগাঁ জেলা সংগঠন খুব শক্তিশালী, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মনস্পতি দেবের সঙ্গে সকল এমএলএ ও নেতারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে।

বিরোধী দলগুলির জোটকে সোনার পাথর বাটি ও বিরোধী কাঁঠালের আমসত্ত্বর সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন,
এটা স্বপ্নই থেকে যাবে। এরমধ্যে সত্যিই কি কোন সত্যতা আছে?
তৃণমূলের একটি শক্তিশালী গ্রুপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে পাঠানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছে।তাকে বিরোধীদলের সমন্বয় করার জন্য দেখতে বলছেন।
কারণ তারা মনে করছে মুখ্যমন্ত্রীকে এই দায়িত্ব দিয়ে বাংলার মসনদে তাদের লোককে বসাবে।

পেগাসাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দা ওয়ার নামে একটি সংবাদপত্র যারা চায় ভারত ধ্বংস হোক, তারা এই খবরটাকে ছড়ায়। কেন্দ্র সরকার বলে দিয়েছে পেগাসাস এর মধ্যে কোন সাবস্টেন্স নেই। যাদের নাম এসেছে তারা কেউ একটা প্রমাণ দিয়েছে কি এখনো?
এটা নিয়ে বিরোধী রাজনীতি করছে।

উপ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ১০০ টার বেশি মিউনিসিপ্যালিটির নির্বাচন বছরের পর বছর করায়নি সরকার।সেইগুলো যদি করোনার জন্য সম্ভব না হয়, তাহলে এখানকার পার্টি কিভাবে বলছে এখন বাংলায় নির্বাচন করা সম্ভব। কবে ভোট করবে কি করবে এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার।

জয় প্রকাশ প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কো-অর্ডিনেটর গোপাল শেঠ বলেন” জয়প্রকাশ মজুমদার বিজেপির একটি ভার তোর কথার কোনো গুরুত্ব নেই। আমরাও ওকে নেতা বলেই মনে করি না। ওর সঙ্গে কোন এমএলএ এমপি নেই।
হেলথ ভলান্টিয়ার প্রসঙ্গে বলেন স্বাস্থ্য দপ্তর বরাবরই সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। কোন জনপ্রতিনিধি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না৷ হিমালয় থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আগামী দিনে দেশে সরকার হবে।