অবতক খবর , নদীয়া :     অনেকেরই বদ্ধমূল ধারণা বৃষ্টি হলেই আনাজের দাম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মাঠে কাজ করা চাষীদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বছরের অন্য সময় বৃষ্টিপাতের ফলে ফসলের খানিকটা ক্ষতি হয় বৈকি ! কিন্তু তা বলে এ সময় কখনই নয়। বরং নদীয়া, বর্ধমান, হুগলি, মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কৃষকই মূল খাদ্য শস্য ধানের চাষ করে থাকেন তাই বর্তমান আমন ধানে জলের বিশেষ প্রয়োজন।

অন্যদিকে পাট চাষীদের ক্ষেত্রেও এবছর যথেষ্ট জল থাকলেও পাটের রং ফেরাতে বিশুদ্ধ জলে ধোয়া ভাগ্যের ব্যাপার। আর যারা ভাবছেন আনাজের ক্ষতি হচ্ছে তাদের জন্য চাষিরা জানান অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রবি শস্য, মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত প্রাগখারিফ শস্য এবং জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত খারিফ শস্য এই তিন মরশুমে চাষ হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে বেশি জায়গা দখল করে থাকা ঝিঙে, পটল, কুমড়ো, উচ্ছে, বরবটি, বেগুন সহ বেশিরভাগ আনাজই প্রাগখারিফ শস্য সময় সীমা অতিক্রম করার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, এরপর বীজ বপনের কাজ শুরু হয়েছে কলাই, ধান, পিয়াজ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ধনে, টমেটোর মতো ফসল গুলি। কেউ যদি অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে মৌসুমের আগেই আগুরি করে অসময়ে বাজারদর পাওয়ার জন্য চাষাবাদ করে থাকেন তাতে ১০০% কীটনাশক ব্যবহার করা প্রয়োজন হয় এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

সর্বশেষে কাঁচা লঙ্কার দামের কারণ “কূটে” নামক এক জীবাণুর আক্রমণে পাতা কুঁকড়ে গিয়ে লঙ্কার ফলন বেশ খানিকটা কমে যাচ্ছে যা দমনে এখনো পর্যন্ত কোনো কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাড়ছে দাম। মোদ্দা কথায় এ মশরুমের আনাজ বা খারিফ শস্য যাই হোক না কেনো জলের বিশেষ প্রয়োজন। তাই স্বাগত বৃষ্টি।