অবতক খবর, সংবাদদাতা, হুগলি :: হুগলি জেলার বলাগড়ে ১৫ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নার্সারি। যেখানে নানান রকমের ফুল ফলের পাশাপাশি গাছপালার উৎপাদন করা হয়। বলাগড় ব্লকের প্রায় কুড়ি হাজারের বেশি পরিবার এই নার্সারির সঙ্গে যুক্ত তাদের সংসার চলে এই কাজের মধ্য দিয়ে।করোনা অতিমারী কারণে চাহিদা থাকলেও মানুষ আসছেনা। তাই এখন রোজ কাজ হচ্ছে না। যার ফলে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাচ্ছে বলাগর ব্লকের এই সমস্ত উৎপাদন করা চারাগাছ। নার্সারি ব্যবসায়ীদের মাসিক আয় ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার। নার্সারি শ্রমিকদের ভাগ ভাগ করে পারিশ্রমিক ১৮০ টাকা থেকে শুরু ৪৫০ পর্যন্ত। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমফান ঝরে বহু গাছপালা নষ্ট হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বলাগড়ে। গাছপালার চাহিদা থাকাতে সেই চাহিদা মেটাতে পারছে না নার্সারির ব্যবসায়ীরা।
তার মধ্যেই মার্চ মাস থেকে করোনা মহামারী সারাবিশ্বের পাশাপাশি ভারতে। এই করণা মহামারীর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাইরের রাজ্য থেকে কোনরকম ভাবে চারাগাছ বলাগড়ে আসতে পারছে না। গাড়ির চালক থেকে শুরু করে নার্সারি সঙ্গে যুক্ত পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে আসা শ্রমিকরা করোনা ভাইরাসের ভয়ে বলাগড়ে নার্সারির কাজে আসতে চাইছে না। যার ফলে একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বলাগড় ব্লকের যেসব শ্রমিক কাজ করেন তাদের এখন রোজ কাজ হচ্ছে না যার ফলে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন শ্রমিকরা। এখন দেখার এইসব সমস্যার সুরাহা কবে হয় সেদিকে তাকিয়ে বলাগড় নার্সারি সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী থেকে শ্রমিকরা।