নরেশ ভকত :: অবতক খবর :: ৩০ নভেম্বর :: বাঁকুড়া :: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় আলোর মুখ দেখেছিল পাত্রসায়ের থানার বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুলপুর বাজারের সমস্ত দোকানদাররা । এছাড়াও উপকৃত হয়েছিলেন রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দারা । কিন্তু কে জানত সেই আলোর দিশা হয়ে যাবে ক্ষণস্থায়ী ।
রসুলপুর বাজারের তিন রাস্তার মোড়ে তৈরি হয়েছিল এই বাতিস্তম্ভটি । কিন্তু দীর্ঘদিন বাতিস্তম্ভের বিদ্যুতের বিল বকেয়া থাকার কারণে সেই বাতিস্তম্ভ ডিসকানেক্ট করে দিয়ে গেল বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা । ফলে নিরাশার ছবি সমস্ত দোকানদার থেকে রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দাদের চোখেমুখে ।
দোকানদাররা বলছেন সন্ধ্যে হলেই নেমে আসে অন্ধকারের প্রতিচ্ছবি । আগে বাতি স্তম্ভটি থাকার কারণে আমরা রাতের বেলায় দোকানপাট বন্ধ করে শান্তিতে বাড়িতে ঘুমাতে পারতাম । কিন্তু এখন আর তা পারছিনা । কারণ কখন দোকানে চুরি হয় , এর ফলে সেই আতঙ্কে লোকজনের যাতায়াতেরও অসুবিধা হচ্ছে এই বাতিস্তম্ভ না জালার কারণে । তবে তাদের দাবি সরকার কেন তাদের বাতিস্তম্ভ টি করে দিয়েছিল শুধু কি ভোট পাবে সেই আশায় । যদি সেটাই হয়ে থাকে তবে তাদের বাতিস্তম্ভ না দিলেও পারতো ।
তবে এ বিষয়ে আমরা বেলুট রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস বাড়ির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান , বাতিস্তম্ভ টি যখন তৈরি হয় তখন আমাদেরকে বলা হয়নি এবং বাতিস্তম্ভের জন্য আমাদের এক্সট্রা কোন অর্ডার নেই সরকার থেকে । আমাদের বলা হয়নি যে বাতিস্তম্ভের বৈদ্যুতিক বিল পেমেন্ট করার জন্য । তবে আমরা দেখছি জনগণের সুবিধার্থে যত তাড়াতাড়ি বাতিস্তম্ভ টি ঠিক করা যায় আমরা তার ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।
তবে পাত্রসায়ের বিজেপি মন্ডল টু এর সভাপতি তমাল কান্তি গুই বলেন , এটা সমস্যা হওয়ারই কথা । কারণ বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়েছিল জনগণের সুবিধার্থে ।এটা শুধুমাত্র লাগানো হয়েছিল উন্নয়ন দেখানোর জন্য এবং ভোট পেতে । এখানে কোন উন্নয়ন হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন । এছাড়াও তিনি বলেন ফান্ডে টাকা থাকতেও তারা বিল পে করেনি । যার কারনে ইলেকট্রিক অফিস থেকে ইলেকট্রিক কেটে দিয়ে গেছে ।
তবে গ্রামবাসীরা এবং দোকানদাররা বলছেন অতি দ্রুত বাতিস্তম্ভটি ঠিক করা হয় তাহলে খুবই ভালো হয় ।