নরেশ ভকত :: অবতক খবর :: বাঁকুড়া :: বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সাংগঠনিক কমর্সুচিতে বিষ্ণুপুর শহরের একটি বেসরকারি হোটেলে যোগ দিতে এসে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাংবাদিক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাজ্য সরকার করোনার তথ্য গোপন করার ফল আজ ভোগ করছেন। তিন মাস ধরে করোনা শক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট গোপন করেছেন। কত জন করোনা রোগে আক্রান্ত হয়েছে বা কত গুলো টেস্ট হয়েছে, কত পি পি ই, কত কিড আছে কোন কিছুই সঠিক জানতে দিচ্ছে না। সমস্ত বিষয় গোপন রাখছেন। এমন কি কত জন মারা গেছেন,কত জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। বা মারা যাওয়া ডেড বডি কোথায় আছে বাড়ির আত্মাীয়দের জানাচ্ছে না। এই সমস্ত তত্ত্ব লুকানোর পরিনাম আজ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সমস্ত তত্ত্ব লুকিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
সরকারী আমলা, ডাক্তার, নার্স কেউ বাদ যায়নি করোনার কবল থেকে। যারা হাতে প্রাণ নিয়ে আমাদের চিকিৎসা করছে, আমাদের সুরক্ষা দিচ্ছেন তাদের কোন সুরক্ষা নেই। প্রথম থেকেই ডাক্তার, নার্স স্বাস্থ্য কর্মী বিক্ষোভ করেছেন। কয়েকশো নার্স বাংলা ছেড়ে পালিয়ে গেছে ওন্য রাজ্যে। অসুরক্ষিত অবস্থায় কাজ করতে গিয়ে তারা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। লকডাউনের প্রথম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পাটির নেতা মন্ত্রীরা মানেনি। সাধারণত মানুষ তার গুরুত্ব বুঝতে পারেনি বলে মানেনি। এর ফলেই করোনা সংক্রমণ এই রাজ্যে হুহু করে বেড়েছে। এই কঠিন পরিস্থিতি র জন্য রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী ও তার সরকার দায়ী
তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থায় শুধু রাজনীতি নয় সবক্ষেত্রেই এই রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত।আমফানের টাকা বিতরন করতে গিয়ে বলছে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে লুট হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দলের নেতা মন্ত্রীদের গায়ে আঁচ লাগতে দিচ্ছেননা।সরকারি কর্মচারীদের বারবার পাঁঠার বলি বানাচ্ছেন বলে দাবী করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ।