অবতক খবর , শিব শংকর ,বালুরঘাট :- করোনার থাবায় বালুরঘাটের বেশির ভাগ বিগ বাজেটের দুর্গাপুজো গুলি এবার ম্লান৷ আঁচ মিলছিলই। এবার চিত্রটা আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। করোনার কারণে দুর্গাপুজোর বাজেটে বড়সড় কোপ পড়ছে বালুরঘাটের বিগ বাজেটের পুজো গুলিতে। বালুরঘাট শহরের বিগ বাজেটের পুজো হিসেবে হাতে গোনা যত গুলি পুজো হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য অভিযাত্রী ক্লাব, প্রগতী সংঘ,। পুজোর চারদিন সকাল থেকে ভোর রাত অবধি দর্শনার্থীদের ভীড় যেন মৌমাছির চাকের মত এই বিগ বাজেটের ঝলমলে পুজো প্যান্ডেলে জমাট বেধে থাকে। কিন্তু করোনা এসে এবার যেন সব ওলট পালট করে দিয়েছে তাদের।
আগে যেখানে ২৫ থেকে ৩০ লাখের কলকাতার কুমারটুলির প্রতিমা শিল্পিদের চোখ ধাধানো দুর্গা প্রতিমা, প্যান্ডেল থেকে আলোকসজ্জায় সেজে উঠত । এবার সেখানে তিন চার লাখ টাকায় নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে তারা। করোনার প্রকোপে যে সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রীতিমতো বেসামাল।হাতে আর মাত্র পাচ দিন। তাই বলে কোন পুজো কমিটি হাত গুটিয়ে বসে নেই। দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে এলাকার বিভিন্ন পেশার মানুষদের রুটি রুজিতে একটা টান আগেই পড়েছে। তাই চাদা পেতে হিমসিম অবস্থা ছোট থেকে বিগ বাজেটের পুজো উদোক্তাদের। ছোট পুজোগুলি তাও কোনরকমে চালিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালালেও , বিগ বাজেটের পুজোগুলিও প্রায় বাধ্য হয়ে তাঁদের বাজেটের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাজেট কাট ছাট করে মূলত পুজোর সাজসজ্জায় যতটুকু চাকচিক্য না করলেই নয় সেটুকু করে বাদবাকি খরচাতেই কাঁচি চালাতে বাধ্য হয়েছে।
সব বিগ বাজেটের পুজো উদোক্তাদের বক্তব্য প্রায় এক আর্থিক দিক দিয়ে পড়া দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় অর্থনীতির একটা দুর্দিন আগাগোড়াই তো ছিলই। তবু তার মধ্যে ও অনান্য বছর পুজোর চারদিন মানুষের মন থেকে নিত্যদিনের অভাব অনটনকে ভুলিয়ে দিয়ে চেষ্টা চলত আনন্দে ভরিয়ে রাখার। কিন্তু এবার এই মহামারী COVID-19 এসে পুজোর বাজেটে আরও বড়সড় কোপ পড়তে তাদের বাধ্য করেছে। তাই পুজো এলেও অনান্য বছরের আনন্দ থেকে এবারের পুজো র আনন্দ টা যেন অনেক অনেক খানি ম্লান।তাই দর্শনার্থীদের যেমন মন ভারাক্রান্ত।তেমনি ভারাক্রান্ত বিগ বাজেটের পুজো উদ্যোক্তাদের।