অবতক খবর,১০ আগস্ট: বালুরঘাট বিডিও’র বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার অভিযোগে জেলার ঠিকাদার সংস্থা জেলা শাসক সহ বিভিন্ন আধিকারিক।
মুখ্যমন্ত্রী,রাজ্যপাল এবং জেলার মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলো।
অবশ্য ঠিকাদারদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক।
তিনি বরং পাল্টা অভিযোগ করেছেন বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজে তিনি শক্ত পদক্ষেপ নিতে ঠিকাদাররা এই অভিযোগ তুলছে তার ইমেজকে নষ্ট করার জন্য।
ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যেকোনো কাজেই বিডিও নিজে এবং তার এক অনুগামী কখনো 5% কখনোবা তারও বেশি টাকা দাবি করছেন বিল ছাড়ার জন্য।
এমনকি বিডিও’র ডান হাত বলে পরিচিত ব্লকের এক ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্ন রকম ভাবে ঠিকাদারদের হেনস্থা করছেন। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বালুরঘাট ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অনুজ সিকদার।
সরকারি কাজ পেতে বিডিওকে দিতে হচ্ছে কাটমানি। তা না হলে মিলছে না কাজের বরাদ। এমনকি কাজ হয়ে গেলেও তার পেমেন্ট বা কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এমনই অভিযোগ বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদারের বিরুদ্ধে৷ আর এমন অভিযোগ তুলে সোমবার জেলা শাসক, সহ একাধিক মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন দক্ষিণ দিনাজপুর কনট্রাকটর অ্যাসোসিয়েশন।
এদিন কনট্রাকটর অ্যাসোসিয়েশনের তরফে লিখিত আকারে অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধুমাত্র বিডিও নয়, বালুরঘাট বিডিও অফিসের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বালুরঘাট ব্লকের বিডিও এক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ কন্ট্রাক্টরদের।
অভিযোগ, প্রত্যেক কাজের টেন্ডার নেওয়া থেকে কাজ পাওয়া ও কাজের পর পেমেন্ট পাওয়া পর্যন্ত বিডিও এবং অফিসের আর এক আধিকারিকের কাছে টাকা দিতে হয় কন্ট্রাক্টরদের।
প্রত্যেক কাজে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ টাকা দিতে হয়৷ আর টাকা না দিলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা বা কাজের টাকা পেতে নানান রকম ভাবে সমস্যা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০-৩০ জন ঠিকাদারের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বিডিও অফিসে৷ সেই টাকা চাইতে গেলেই কাটমানি চাওয়া হচ্ছে। কাটমানি দিলে কাজ পাচ্ছেন ও টাকাও পাচ্ছেন। কাটমানি না দিলেই সমস্যা করছেন বিডিও। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন জেলা শাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযোগ ওঠা বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ শিকদার ৷
তিনি উলটে বলেন যা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেই অভিযোগ পুরো পরিস্কার ভাবে উল্লেখ নেই। টেন্ডার পক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে হয় তাই এমন কোন অভিযোগ ওঠার কথায় নয়৷ এছাড়াও কোন এজেন্সিকেই তার দপ্তরে প্রবেশ করতে দেন না তাই কাটমানি চাওয়া বা টাকা চাওয়ার ঘটনা হতেই পারে না। অন্যদিকে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা শাসক আয়েশা রানি।