অবতক খবর,৭ আগস্ট,মলয় দে নদীয়া :-প্রসঙ্গত গত ২০ শে জুলাই, শান্তিপুর ব্লকের অন্তর্গত গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল ঘোষ তৃণমূলের বিধায়কের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। তার পরই একাধিক বার প্রধানের অপসারণ চেয়ে পঞ্চায়েতের সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।
তবে এবার রীতিমতো মাথা ন্যাড়া হয়ে জীবিত প্রধানের আদ্যশ্রাদ্ধ ও পরলৌকিক ক্রিয়া করল বিজেপি কর্মীসমর্থকরা। এদিন শান্তিপুর ফুলিয়া বয়ড়া গঙ্গা ঘাটে এই পরোলৌকিক ক্রিয়া ও শ্রদ্ধানুষ্ঠান এর আয়োজন কড়া হয় ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে। রীতিমতো পুরোহিত ডেকে হিন্দু আচার মেনে করা হয় এই অনুষ্ঠান ।
বিজেপির তরফে জানান হয় গয়েসপুর অঞ্চলের প্রধান বিজেপির মায়া পরিত্যাগ করে তৃণমূল নামক নরকে গমন করেছেন । তার মানসিকতার শান্তি কামনায় আদ্যশ্রাদ্ধ ও পরলৌকিক ক্রিয়া সুসম্পন্ন করা হলো। তবে শুধু তাই নয় ঘটনার পর গয়েশপুর পঞ্চায়েত থেকে যখন প্রধান শ্যামল ঘোষ বাড়ি যাচ্ছিলেন তখন এলাকারই দুই বিজেপি নেতা তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেন।এবং জানান “আজ তোর শ্রাদ্ধ শান্তি করলাম, খুব শীঘ্রই তোকে হত্যা করে পড়ার লোক খাওয়াবো “।
এই কথা শুনে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের মেম্বার এবং অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের সঙ্গে নিয়ে শান্তিপুর থানার দ্বারস্থ হন গয়েশপুর পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল ঘোষ। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার প্রানহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এবং দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্তির দাবি জানান। যদিও এই বিষয়ে বিজেপি যে তোপ দেগেছেন শান্তিপুর ব্লক “এ ” তৃণমলের ব্লক সভাপতি সুব্রত সরকার।
তিনি জানান এই ঘটনা ঘৃণ্য এবং লজ্জা জনক। এই ভাবে বিজেপি নিচে নেমেছে তা বলার মত না। আমরা প্রশাসনের উপরে ভরসা রাখছি এবং দোষীদের স্বাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে এই ঘটনার পর তৃণমূলের তরফেও দলীয় নির্দেশে আন্দোলন সংগঠিত হবে তার জন্য বিজেপির নেতারা তৈরী থাকুন।
অঞ্চল কনভেনার সানোয়ার মন্ডল বলেন এর আগে ওই প্রধান তৃণমূল করছেন তিনি যখন বিজেপি তে গিয়েছিলেন তখন আমরা এরকম কোনো আলোচনা করিনি এটাই আমাদের তৃণমূলের কালচার কারণ মানুষের ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকতেই পারে।
পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল ঘোষ জানাচ্ছেন এর আগে পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে যখন সাদা থান দুষ্কৃতীরা রেখে এসেছিল তখন তিনি হুমকি মনে করেছিলেন আর আজ তিনি নিজে জীবিত প্রধানের শ্রাদ্ধ করছেন! একজন শিক্ষক এবং ব্রাহ্মণ ঘরের সন্তান হয়ে তিনি মূলত হিন্দু ধর্ম কে অবজ্ঞা করেছেন এর জবাব দেবে মানুষ আর এদের সাথে থাকা সম্ভব নয় বলেই দল ছেড়ে বেরিয়ে আসা।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।