অবতক খবর,৩১ ডিসেম্বর: ব্যারাকপুর মহকুমায় বিজেপির বিশৃঙ্খল অবস্থা এটা বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন এবং জেলা সভাপতির পরিবর্তন ঘটিয়ে সেখানে নতুন সভাপতি সন্দীপ ব্যানার্জীকে নিয়োগ করেছেন। সন্দীপ ব্যানার্জী সভাপতি হবার পর যে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে তাতে বিজেপি নেতা তথা ব্যারাকপুর সাংসদ অর্জুন সিং কর্মীদের জানিয়ে দিয়েছেন যে কাউন্সিলর পদে যারা লড়বেন, নির্বাচন বিষয়ক খরচ তাদের নিজেদেরই বহন করতে হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রার্থীদের মুচলেকা দিতে হবে যে, তারা দলবদল করবেন না। যারা দলবদল করবেন না এমন মুচলেকা তাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হবে।
za
এই নির্দেশে পুরনো পোড়খাওয়া বিজেপি কর্মীরা ক্ষুব্ধ। তারা পাল্টা জানিয়েছেন যে, যিনি একই অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি নিজেকে বড় মাপের নেতা এবং বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব বলে মনে করেছেন অথচ তিনিই যখন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি কি নিজের অর্থ ব্যয় করে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন? তিনিই কি নির্বাচনের প্রাক্কালে অর্থাৎ বিজেপিতে যোগদানের পর মুচলেকা দিয়েছিলেন যে, তিনি দলবদল করবেন না? তাহলে এই নীতি যখন রাজ্যের কোথাও প্রযুক্ত হয় নি,তো এক্ষেত্রে তিনি এটি ঘোষণা করলেন কি করে?
অন্যদিকে বাজারে চাউর যে তিনি পুনর্মূষিক ভব, তিনি তৃণমূলে ছিলেন বিজেপিতে এসেছেন, তলতলে তিনি আবার তৃণমূলে যাবার চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধেই তো দলবদলের অভিযোগ উঠেছে। সুতরাং তিনি যদি নিজেকে উচ্চ স্তরের নেতা মনে করেন তারই যখন এই চরিত্র তখন নিচু স্তরের কর্মীদের উপর এই হুইপ জারি করছেন কেন?
পুরনো বিজেপি কর্মীরা তারা জানিয়েছেন যে প্রথমে সাংসদ অর্জুন সিং থেকে প্রথমে মুচলেকা নেওয়াহক কারণ তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাবেন না সেটা কি করে বিশ্বাস করা যাবে । এই নিয়ে ব্যারাকপুর মহকুমায় দলের মধ্যে আবার বিক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তার এই হুকুম নামায় বিজেপি কর্মীরা অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।