অবতক খবর,৪ জানুয়ারিঃ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলার এসে বিরোধী দলনেতার পাশে দাঁড়ালেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন ” তৃণমূল ও বিজেপি এক। কারণ তৃণমূল যা যা ঘোষণা করছে বিজেপির কাছ থেকে নকল করে ঘোষণা করছে। শুভেন্দু এটা ঠিক কথা বলেছে। এদিকে আবার ত্রিপুরায় বিজেপি তৃণমূলকে নকল করছে। আমরা তৃণমূলকে নকল করে বিজেপি, বিজেপিকে নকল করে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছেন আরএসএস বাহিনী প্রত্যক্ষভাবে বিজেপি নরেন্দ্র মোদিরা, পরোক্ষভাবে মমতা ব্যানার্জি।

বিপন্ন মানুষের পাশে বামপন্থীরা৷ চাকরি চুরি হচ্ছে তাদের পাশে বামপন্থীরা। আজ যে একাধিক দুর্নীতি হচ্ছে। মানুষের পাশে থাকার জন্য বামপন্থীরা। ভোটের জন্য নয় বামপন্থীরা। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন তৃণমূলের দুতেরা পাড়ায় পাড়ায় যাবে। কিন্তু লোকেরা বলছে তৃণমূলের দূত, কি লুটেরাদের ভূত? সাবধান, ঘরবাড়ি, সোনাদানা, গরু বাছুর, ওরা লুট করতে আসছে৷

পঞ্চায়েত ভোট পশ্চিমবাংলায় লুট করেছে তৃণমূল, পঞ্চায়েত ভোট ত্রিপুরাতে লুট করেছে বিজেপি। তৃণমূল ও বিজেপি লুটেরাদের বাহিনী। এরা যে তৃণমূল নেতারা কান ধরে উঠবস করে বলবে আমি কোনদিন তৃণমূল করব না।

এখানকার বিজেপি নেতারা দিল্লির মন্ত্রীদেরকে পারলে বলুন, আট বছর হয়ে গেল চিটফাণ্ড কাণ্ডে কেন চার্জশিট দিতে পারল না৷ বিজেপি কি চায় তৃণমূলকে ধরা হোক? থানা ও বিডিও তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। মমতা ব্যানার্জি মানুষের সুরক্ষা কথা বলছেন না, নিজের সুরক্ষার কথা বলছেন।

শুভেন্দু অধিকারী আগে তৃণমূলের নেতা ছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী একজন। এই কারণে মমতা ব্যানার্জি শুভেন্দু অধিকারীকে একাধিক পদ দিয়েছেন। তাকে খুশি করেছেন। তৃণমূল চায়না বিজেপি বিপদে পড়ুক, বিজেপি চায়না তৃণমূল বিপদে পড়ুক। এই জন্যই কোর্টে রক্ষাকবচ।

পশ্চিমবঙ্গের মানব অধিকার কমিশন নেই। টাকা ও অস্ত্র, দুর্নীতি ও দুষ্কৃতি তৃণমূলের মূল লক্ষ্য। কেন্দ্র সরকার বন্দেমাতরম ট্রেন তীব্র কটাক্ষ করেছেন তিনি। কোন কাজে লাগছে না এই ট্রেনটি। সময়ও কম লাগছে না। শুধুমাত্র বেশি টাকা নিচ্ছে। আবাস যোজনা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন।