অবতক খবর,২১ মার্চ: বীজপুরের বিভিন্ন বাজার কাঁচরাপাড়া মন্ডল বাজার, টিকটিকি বাজার, ডাঙ্গাপাড়া মানিকতলা বাজার, বাগমোড় বাজার, সরকার বাজার সহ আরো অন্যান্য বাজারগুলিতে সার্ভে করে গেল বীজপুর পুলিশ প্রশাসন। তারা দেখে গেল জিনিসপত্রের দাম ব্যবসায়ীরা উচ্চহারে নিচ্ছে কিনা। কোন কোন ক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মীরাও এই বাজার তদারকিতে নেমে পড়েছে।

এদিকে বিভিন্ন বাজারে পুলিশ এবং পার্টির নজরদারি চললেও তারা চলে যাওয়ার পর কিন্তু ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম উচ্চ হারেই নিচ্ছেন। পুলিশের সামনে আলুর দাম তারা ১৬ টাকা বলছে, কিন্তু চলে গেলেই সেই আলুর দামই কোন কোন ক্ষেত্রে ২০ টাকা, আবার কোন ক্ষেত্রে ২৪ টাকা হয়ে যাচ্ছে। এটি একটি উদাহরণ মাত্র। এইরকমভবে বিভিন্ন জিনিসের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ , তাহলে প্রশাসনিকভাবে কি নজরদারি চলছে? প্রশাসন থাকলে দাম কম, প্রশাসন না থাকলেই আবার দাম বেড়ে যাচ্ছে এবং অনেক দোকানি বলছেন আপনি জিনিস নিলেন নিন আবার না ও নিতে পারেন। নিলে আমার থেকে এই দরেই নিতে হবে। এইরকম একটা পরিস্থিতি বীজপুর অঞ্চলের বাজারগুলিতে সৃষ্টি হয়েছে।

আগামীকাল বাজার বন্ধ থাকবে কিনা এ ব্যাপারেও রাজনৈতিক পক্ষ থেকে এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে কিছুই বলা হচ্ছে না। কেন্দ্রীয়ভাবে বাজার বন্ধ থাকবে এ কথা বলা হলেও এখানে একটি রাজনৈতিক প্রশ্ন উঠে গেছে বলে আমরা প্রত্যক্ষভাবে দেখতে পাচ্ছি। যদি বিজেপি বাজার বন্ধ করার ডাক দেয় বা নেমে পড়ে তবে তার প্রতিবাদ করবে তৃণমূল এমনও বোঝা যাচ্ছে। কারণ তারা দোকান খোলা রাখার পক্ষে।

এদিকে একটু উচ্চ তৃণমূল নেতারা বলছেন, স্পষ্টভাবে এইরকম কোনো নির্দেশ নেই, আগামীকাল কি হবে সেটা আগামীকালই বলা যাবে।