অবতক খবর,১০ অক্টোবরঃ বীজপুরের রাজনীতি খুব জটিল। এখানে রাজনীতিতে টিকে থাকা বড়ই দায়। কারণ অন্যান্য জায়গার থেকে এই বীজপুরের রাজনীতি অনেকটাই আলাদা। কেউ সম্মান পাওয়ার জন্য রাজনীতি করে,কেউ পদের জন্য রাজনীতি করে,আবার কেউ নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজনীতি করে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিত্বরা রাজনীতি করে। কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কথা যে এই অঞ্চলের দলের কিছু কিছু কর্মীরা তারা কোনদিন গুরুত্ব পায় না। যেই নেতাই আসুক না কেন,নিচুতলা থেকে কোন নেতা উঠে আসুক কিংবা সোনার চামচ মুখে নিয়ে রাজনীতিতে আসুক,তাতে কর্মীদের কিছুই আসে যায় না। কারণ কর্মীরা সব সময় গুরুত্বহীন হয়েই থাকে দলে।
অন্যদিকে ফের বীজপুরের রাজনীতিতে পটপরিবর্তন ঘটবে বলে শোনা যাচ্ছে। আর কর্মীরাও সেইরকম। পরিবর্তনের আভাস মিলতেই একদিকে সম্মান না পেলে আর এক দিকে চলে যায় তারা। বিগত কয়েকদিন ধরেই এই পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বীজপুরে এখন নজরে শুভ্রাংশু রায়।ফের ধীরে ধীরে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসছেন তিনি। আর আমাদের সংবাদের মধ্য দিয়ে তিনি একটাই কথা বলেছেন যে, তিনি পুরনো কর্মীদের সসম্মানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। কারণ দলে এখন বহু পুরনো কর্মী গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন। ইদানিং এমন কিছু নেতৃত্ব গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন যে,২০২১-এর নির্বাচনে তাদেরকে সামনে রেখেই লড়াই করেছিল অধিকারী পরিবার।
যাদের সামনে রেখে এই অধিকারী পরিবার লড়াই করেছিল,এখন দেখা যাচ্ছে তাদের ডানাই তারা ছাঁটতে শুরু করেছে।
শুভ্রাংশু রায় আবার ধীরে ধীরে যখন সক্রিয় হয়ে উঠছেন, তখন দেখা যাচ্ছে বহু পুরনো নেতা-কর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
কিন্তু সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো অধিকারী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কিছু নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যেই শুভ্রাংশুর রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শুধু তাই নয়,বেশ কিছু কাউন্সিলরও যোগাযোগ করেছেন। বিজয়া করতে বেশ কিছু নেতা-কর্মীরা তাঁর বাড়িতে যান,মিষ্টিমুখ করেন এবং বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান।
আর এই নিয়েই শুরু হয়ে গেছে শোরগোল। অনেকেই বলছেন যে, এমন কি হলো যে এত তাড়াতাড়ি বীজপুরের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর তথা নেতাকর্মীরা অধিকারী পরিবারের থেকে দূরত্ব তৈরি করছেন! এমন কি ঘটেছে যে তারা এই নেতা-কর্মীদের ধরে রাখতে পারলেন না?
আজ বীজপুরের বেশ কিছু নেতা-কর্মী এবং কাউন্সিলররা শুভ্রাংশু রায়ের বাড়িতে গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করলেন। শুধু তাই নয়, জানা গেছে তারা বীজপুরের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।
যারা শুভ্রাংশুর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন তাদের কয়েকজনের সাথে আমরা যোগাযোগ করলে তারা জানাচ্ছেন যে, কাউন্সিলর তো হয়েছি, কিন্তু সম্মান কোথায়? সম্মান তো দেবে আমাদের শুভ্রাংশু রায়।
এবার বীজপুরের রাজনীতিতে কি পরিবর্তন হবে? কেমন পরিবর্তন হবে? তা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।