বিনয় ভরদ্বাজ, অবতক খবর,২৯ আগস্ট :: বীজপুরের সমস্ত কাউন্সিলর নেতাদের নিয়ে আজ বৈঠকে বসছেন নবনির্বাচিত দমদম ব্যারাকপুর জেলা কমিটির সভাপতি পার্থ ভৌমিক আর এই বৈঠকে শুভ্রাংশু রায় থাকবেন কিনা সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।আদৌ কি এই বৈঠকে শুভ্রাংশু রায় কে ডাকা হয়েছে? আদৌ কি শুভ্রাংশু রায় এত বিরোধীতার পর এই বৈঠকে উপস্থিত হবেন? এই সমস্ত প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে মানুষের মুখে মুখে।
জানা গেছে,আগামী পৌর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এই বৈঠক তবে বীজপুরের দুটি পৌরসভা কাঁচরাপাড়া ও হালিশহর।এই দুই পৌরসভার কাউন্সিলরদের নিয়ে আলাদা আলাদা দুই পৌরসভাতে বৈঠকে বসবেন তৃণমূল সভাপতি পার্থ ভৌমিক, উপস্থিত থাকবেন এলাকার বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান নির্মল ঘোষ ।সূত্র অনুযায়ী বেলা ১টা নাগাদ কাঁচরাপাড়া ও বেলা দুটো নাগাদ হালিশহরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে আদৌ শুভ্রাংশু রায় থাকবেন কিনা তা নিয়ে চর্চায় বাজার গরম রয়েছে।
উল্লেখ্য, শুভ্রাংশু রায় প্রাক্তন বিধায়ক। তাছাড়া তিনি কাঁচরাপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। যেহেতু সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে এই বৈঠক, সেহেতু এই বৈঠকে থাকার কথা শুভ্রাংশুর।কিন্তু শুভ্রাংশু রায় থাকবেন কিনা, তাঁকে ডাকা হয়েছে কিনা, সে সব নিয়ে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
কাঁচরাপাড়ার বেশিভাগ কাউন্সিলরদের মত এই বৈঠকে শুভ্রাংশুর না আসাটাই উচিত। কারণ তিনি বিজেপিতে চলে গিয়ে দলকে ক্ষতি করার প্রচুর চেষ্টা করেন। তাছাড়া বিধায়ক থাকার দৌলতে তিনি কাউন্সিলর নেতাদের উপরে শারীরিক নির্যাতনও চালান। শুভ্রাংশু বিরোধী কাউন্সিলরদের দাবি, তিনি দলকে হারানো আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। এত বিরোধীতার পর তার ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা একেবারে উচিত হবে না।
অন্যদিকে শুভ্রাংশু রায় পক্ষেরও কিছু কাউন্সিলর রয়েছেন। তারা জানান, যেহেতু তিনি মুকুল রায় হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তাই তার এই বৈঠকে থাকার অধিকার রয়েছে। তাছাড়া এটা ভুললে চলবে না যে কাঁচরাপাড়া নির্মাণে শুভ্রাংশুর অনেকটাই অবদান রয়েছে তা জনগণ মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন ও জানেন। উল্লেখ্য, শুভ্রাংশু দলে ফিরে আসাতে তৃণমূলে কোণঠাসা হয়ে পড়া বিভিন্ন নেতা কাউন্সিলররা আবার নতুন করে সাহস পেয়ে উদ্যোগী হয়েছেন।
অন্যদিকে বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এ নিয়ে কোনো রকম মাথা ঘামাতে নারাজ। তিনি জানান যে,মিটিং জেলা সভাপতি ডেকেছেন। কে থাকবেন কে থাকবেন না, তাঁর পক্ষে বলা সম্ভব নয়, দলীয় কর্মীদের সকলে থাকা উচিত।
স্বয়ং শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান যে, মিটিং এ যাবো কি যাবো না, এ প্রশ্ন এখন আমার পক্ষে জানানো সম্ভব নয়। আদৌ কি তাকে মিটিং ডাকা হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি অন্য কাজে এই মুহূর্তে ব্যস্ত আছি তাই এই প্রশ্নের উত্তর পরে দেবো।
তাদের জেলা সভাপতির ডাকা বৈঠকে শুভ্রাংশু রায় অংশগ্রহণ যদি না করেন তাহলে জেলাজুড়ে এইবার তা পরিষ্কার হয়ে যাবে যে তিনি বর্তমানে বীজপুর রাজনীতি থেকে একেবারে ছিটকে গেলেন। বিধায়ক ও তাঁর কত বৃদ্ধি তৃণমূল কাউন্সিলর না তবে হাবে ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, বীজপুরের মাটিতে শুভ্রাংশু রায়ের আর কোনো রাজনৈতিক ভূমিকা নেই।
তবে জেলা সভাপতির ডাকা এই বৈঠকে শুভ্রাংশু রায়ের উপস্থিতিই তাঁর বীজপুরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ খোলাসা করবে, তার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সমগ্র ব্যারাকপুরের ও বিজপুরের রাজনৈতিক সচেতন মানুষ।