অবতক খবর,১১ মে:এখন রাজনীতি এক খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে।দল জিতলে আমি দলের নেতা বা নেত্রী। আর দলের ক্ষমতা না থাকলে “আমি রাজনীতি ছাড়ছি।” বিষয়টা এখন এইরকম। দেখা যাচ্ছে ২০-২২ বছরের ছেলে এক আজীবন সক্রিয় রাজনীতি করা বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষকে রাজনীতির পাঠ পড়াচ্ছে। আবার দলবদলুরা বড় বড় ভাষণ দিচ্ছে।
অন্যান্য জায়গার কথা ছেড়েই দিলাম। এখন বীজপুরে অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদদের অস্তিত্ব নেই। কেউ দল বদল করে ক্ষমতাশালী দলে যোগদান করছে, আবার কেউ রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করছে। রাজনীতিকে একটা খেলা বানিয়ে দিয়েছে দলের কিছু স্বঘোষিত নেতা, নেত্রীরা। কিভাবে দলের জন্য কাজ করতে হবে, কিভাবে দুঃসময়ে দল তথা নিজের দলের নেতার পাশে থাকতে হবে সেসব নিয়ে কোন মাথাব্যথাই নেই তাদের। আসলে নিজের পিঠ বাঁচানোর খেলা চলছে এই বীজপুরে। তারা যে নিজের স্বার্থে রাজনীতি করছে তা এখন সকলের কাছেই পরিষ্কার।
এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে,সে তৃণমূল হোক বা বিজেপি,এই দুই দলের কেউ না কেউ ঘোষণা করছেন,”আমি রাজনীতি ছাড়লাম।”
যারা এটা ঘোষণা করছেন,তারা কি কেউ আদেও কোনদিন নিঃস্বার্থভাবে রাজনীতি করেছেন বা প্রকৃত রাজনীতির জ্ঞান আছে? বা রাজনীতি কাকে বলে তারা সেটা বোঝেন?
সিপিএম দল হেরে গিয়েও এই করোনা পরিস্থিতিতে যেভাবে তারা নিজেদের “রেড ভলেন্টিয়ার্স” বলে মানুষের সেবা করে চলেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। কিন্তু বিজেপি দল এই পরিস্থিতিতে মানুষের সেবা না করে ‘রাজনীতি ছেড়ে দেবো’ এই বলে নিজের সেবা শুরু করে দিয়েছে। দলে থাকাকালীন তারা জনসেবা করবেন বলে বড় বড় ভাষণ দেন। অথচ দল থেকে তাদের স্বার্থ পূরণ না হলে তারা রাজনীতি ছেড়ে দেন অথবা স্বার্থ রক্ষার্থে দলবদলু হয়ে যান।
এখন দেখা যাচ্ছে,বীজপুরের অনেক বিজেপি নেতা তৃণমূলে যেতে চাইছেন। এই যে যারা দলবদল করতে চাইছেন,তারা কি রাজনীতি বোঝেন? তারা কি প্রকৃত রাজনীতি করেছেন কোনদিন?
কাকে বলে রাজনীতি? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর তারা দিতে পারবেন না। তারা আবার নিজেদের নেতা,নেত্রী বলে ঘোষণা করেন।
দীর্ঘ বছর ধরে বিজেপি দল করে আসছিলেন কাঁচরাপাড়ার ও হালিশহরের অনেক বিজেপি নেতা নেত্রী। তারা একসময় দায়িত্বও পেয়েছিলেন মণ্ডলে ও পরে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার। কিন্তু তারও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোষণা করলেন,”আজ থেকে আমি রাজনীতি ছেড়ে দিলাম।”
এইরকম আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে বীজপুরে। তারা যে কি রাজনীতি করলেন,তা তারা নিজেরাও হয় তো জানেন না। এই হল বর্তমানে বীজপুরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।