শেষ পর্যন্ত এই দ্বিপ্রহরে বৃষ্টি এলো, তুই কী এলি!

বৃষ্টি
তমাল সাহা

আকাশ ঘন কালো হয়ে এলো
বুকের ভেতর কিছু কি জন্ম নিল?
মেঘ গুরু গুরু করে
বৃষ্টি ঝরে আর ঝরে কোন আদরে!

কদম ফুল লুকিয়ে রেখেছিলি তুই
হাত দুটো পেছনে করে…
মনে পড়ে মনে পড়ে তোর কথা মনে পড়ে!

তুই কি বৃষ্টিজলে ভিজেছিলি
কপালে এলোচুল
মুখে বিন্দু বিন্দু জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে পড়ে…

জলস্রোতের বুকে বৃষ্টির শব্দ
রানী রাসমণি ঘাট মন্দির অদূরে
আঁচল সরে যায় খেলাঘরে
কার হাত দুটো তোর চিবুকের তলে
আকাশের দিকে মুখটি তুলে ধরে
কাঁপন তোলে ওষ্ঠ অধরে
দুটি পাঁপড়ি হয়ে তুই তখন একটি ফুল
বৃক্ষনারী হয়ে ডালপালায় শিহরণ তুমুল স্পর্শে আকুল!

বৃষ্টি তোর শরীরে বর্ণমালা লেখে
শস্যবতীর ছবি এঁকে চলে ধান ক্ষেতে
মৃত্তিকা জুড়ে নীরব ধানের গান
শ্বাস প্রশ্বাসে ঘনায় সৃজনের অম্লজান!