অবতক খবর,১০ এপ্রিলঃ কেউ বোম মারে নি, বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়। আহত এক নয় একাধিক। দাবি গ্রামবাসিদের। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বেশ কয়েকটি তাঁজা বোমা। এছাড়াও বোম বানানোর সরঞ্জাম। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষনা হয় নি। তার আগেই উত্তপ্ত উত্তপ্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার আগডিমটি খুন্তি অঞ্চলের বানিয়াভিটা গ্রাম। সোমবার দুপুরে বানিয়াভিটা গ্রামের তফিজুল হক তার সঙ্গীদের নিয়ে বোমা বানাচ্ছিল। আচমকাই বোমের শব্দে এলাকা কেপে ওঠে। ভুট্টা জমিতে সেই সময় কাজ করছিলেন মহম্মদ জহিরুল নামে গ্রামবাসি। বোমের ধোয়ায় এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। বিকট আওয়াজে ছুটে আসে আরো কিছু বাসিন্দা। তফিজুল হক রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েছিলেন। বাকি সঙ্গীদের আঘাত ততটা গুরুতর না হওয়ায় আহত অবস্থায় তারা সেখান থেকে চম্পট দেয়। গ্রামবাসিদের তফিজুল হকের সঙ্গে আরো চারপাঁচজন ছিলেন। তারা তাদের পালিয়ে যেতে দেখেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা দারুদ ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে এই বাড়ি। ফাঁকা জায়গায় এই বাড়ি হওয়ায় দুস্কৃতিরা এই বাড়িতে বসে প্রতিদিন বোমা বানাতেন। স্থানীয় দোকানদারের কাছ থেকে বোমের সরঞ্জাম হিসেবে প্রচুর পরিমান ব্লেড কিনে আনতেন। আজকের ঘটনার পর তাদের চোখ খুলে দিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পৌছেছে। বাড়ি তল্লাশী চালিয়ে ১৫ টি তাঁজা বোমা এবং বোমা তৈরীর সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের নজর এড়িয়ে কিভাবে এখানে বোমের কারখানা তৈরী করল এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে বাসিন্দারা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এলাকায় আরও বোম মজুত আছে কি না তা জানতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি তল্লাশী চালাচ্ছে। তফিজুল ছাড়াও আর কারা এই বোমা বানানোর সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের খোঁজেও তল্লাশী চালাচ্ছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।