অবতক খবর :: নদীয়া :: উজালা গ্যাসের টাকা হোক বা আমপান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত টাকা হোক লকডাউন এর প্রথম থেকেই ব্যাংকের সামনেই গ্রাহকদের ভিড় হার মানিয়েছে পারস্পারিক দূরত্বকেও। প্রথম প্রথম আনুষ্ঠানিক ভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বোতল রাখলেও এখন শিকেয় উঠেছে সব। মুনাফা অর্জনে ব্যস্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাইরে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা জনগণের সচেতনতা এবং প্রশাসনের ঘাড়ে চাপিয়েছেন। তাই মানবিকতা ভুলেছেন বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা যুক্ত, বয়স্ক, বা শারীরিক অসুস্থতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিও।
প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সকলেই দেখেছেন কিন্তু চেতনার উন্মেষ হয়নি হয়তো কারো। কিন্তু সামাজিক সংস্থা মরমীর সদস্যদের কাছে বিষের মত জ্বালাময় হয়ে উঠেছিল বিষয়টি। তাই সদস্যদের মধ্যে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত করে ১৬০০০ টাকা ব্যয়ে তিনটি অস্থায়ী চালা তৈরি করে নিঃশব্দে মাথার উপরের রোদ জল থেকে রক্ষা করেছেন গ্রাহক নয় তাদের পাড়া শহর এলাকার সাধারণ মানুষদের। এমনকি প্রচারের জন্য নিজেদের সংস্থার নামের ফলকো ব্যবহার করেননি তারা।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে মুখ লুকিয়ে সাধুবাদ জানিয়েছেন এই উদ্যোগকে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায়! শুধুই কি মুনাফা অর্জন? গ্রাহকদের থেকে ব্যবসা পাওয়া?