অবতক খবর,৫ জুন:: পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই সমগ্র ভারতবর্ষে গাঙ্গেয় তীরে এই ব্যারাকপুর কেন্দ্র ছিল একটি বহু চর্চিত বিতর্কিত নির্বাচনী কেন্দ্র। মহাভারতের ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছিল ব্যারাকপুর নির্বাচন কুরুক্ষেত্রে। পার্থ ও অর্জুন মহাভারতে একই ব্যক্তি দুইজন হয়ে ব্যারাকপুরে নির্বাচনী যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি সমরে অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
পার্থ অর্জুনকে বলেছিলেন, বাহুবলী, গুন্ডারাজ কায়েম করেছে। যদিও এক সময়ে পার্থ ও অর্জুন পরস্পরের বন্ধু ছিলেন। দুজনেই ছিলেন তৃণমূলের কর্মী। বিজেপি পন্থী অর্জুন সিংকে সাদরে মালা দিয়ে বরণ করে তাকে তৃণমূলভুক্ত করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।সে এক অন্য অধ্যায়।
এখন আরেকটি নতুন অধ্যায়।এখন অর্জুন পাল্টা বলেছে, পার্থ জমির দালাল, কাটমানি খাবার অভিনয় জানে। এসব চাপান উতোর প্রাক নির্বাচনীতে আসল খেলা জমিয়েছে।
নির্বাচনী যুদ্ধে পার্থ ভৌমিক পেয়েছেন ৫ লক্ষ
২০ হাজার ২৩১ ভোট।
অর্জুন সিং পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৯৩ ভোট। অর্থাৎ ৬৪ হাজার ৪৩৮ ভোটে বিজেপির অর্জুন সিং কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল দলের পার্থ ভৌমিক।
সাতটি বিধানসভা ক্ষেত্রের মধ্যে কেবল ভাটপাড়া নির্বাচন কেন্দ্রে অর্জুন সিং এগিয়েছিলেন। বাকি ৬টিতে পার্থ ভৌমিক-ই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন।
পার্থ ভৌমিক ভোট পেয়েছেন–
আমডাঙ্গা-১ লক্ষ ৪ হাজার ৫০০, বীজপুর-৬৪ হাজার ৭৪২, নৈহাটী ৭৫ হাজার ৩৯০, ভাটপাড়া-৪০ হাজার ৬২১ জগদ্দল-৮১ হাজার ৯৬৩, নোয়াপাড়া-৮৬ হাজার ৭৩৭, বারাকপুর-৬৪ হাজার ৫৩৩।
অর্জুন সিং পেয়েছেন আমডাঙ্গা-৬৯ হাজার ২২৭, বীজপুর-৫৫ হাজার ৭১, নৈহাটি-৫৯ হাজার ৮৭২, ভাটপাড়া-৫৮ হাজার ৮৪, জগদ্দল-৭৫ হাজার ৯৭৯, নোয়াপাড়া-৭৪ হাজার ৮৭৮, বারাকপুর ৬১ হাজার ৭৩ ভোট।
পার্থ ভৌমিক ইভিএম ব্যালটে পেয়েছেন ৫ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৮৬ ভোট, পোস্টাল ব্যালটে পেয়েছেন ১৭৪৫। মোট ৫ লক্ষ ২০ হাজার ২৩১ ভোট পেয়েছেন তিনি।
অর্জুন সিং ইভিএম ভোট পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৪ হাজার ১৮৪ ভোট, পোস্টাল ভোট পেয়েছেন ১৬০৯। মোট ভোট পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭৯৩ ভোট।
বারাকপুর কেন্দ্রে উল্লেখযোগ্যভাবে নোটায় ভোট পড়েছে ১১,০৮২।