কারা যেন বলেছিল,
গণেশের প্লাস্টিক সার্জারি মাথা।
চন্দ্র-সূর্য মহান দ্যাবতা।
হায়, এঁনাদের গায়েও এখন পা পড়ে!
এরাই এখন গর্ব করে—
ভারত কিতনা আগে বঢ়ে!
মিত্রোঁ! দেখো মেরা ভারত কি প্রযুক্তি!
ভাত-নোকরি নেহি তো কেয়া
শুনো মন কি বাত,মেরা উক্তি!

ভয়ঙ্কর চাঁদ
তমাল সাহা

রাষ্ট্রনায়কদের সাথে
কাল রাত জেগে দেখলাম ল্যান্ডার
আমরাও সৌভাগ্যবান।
তোমরা খুবই উজ্জ্বল সুখে।
বাবাঃ, আরো কী সুন্দর হয়েছ!
নিজ হাতে তুলে নিয়ে জ্যোৎস্না—
মেখেছো সারা মুখে।

কী হারামি! কী হারামি!
সুকান্ত বলেছিল,
পৃর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
এমন উপমা!
বড় কবিরা বলেছিল,
মনে হয়, যেন চেপে ধরি ওর টুঁটি!

কে যেন বলেছিল,
এ যুগের চাঁদ হলো কাস্তে।
আরো এক কবি বলেছিল,
বাঘমুণ্ডি চাঁদ।
চাঁদ নিয়ে বলা এসব অন্যায় অপরাধ।

যারা দেখছিল অবতরণ
চন্দ্র-বিক্রম
তাদের তো খুবই পরাক্রম!
সামনে ছিল সুখাদ্য পানীয়ের বাহার।
তোমরাও দেখছিলে নিরন্ন পেটে
চাঁদ! কী নরম চাঁদ!
দেখেছো দিনভর খেটে।

দেখো,বিজ্ঞান প্রযুক্তির দৌড়—
ভারতে ভাত নেই, তাই কী?

ওই তো, ওই তো ভয়ঙ্কর সুন্দর
বিভূতিভূষণের চাঁদের পাহাড়!
এই সৌন্দর্য দেখলেই
খিদে মিটে যায়,লাগে না আহার।