অবতক খবর,২৮ জুনঃ বীজপুরের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। সাংসদ অর্জুন সিং-কে কখনো দেখা গেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে,তো কখনো দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে। এছাড়াও বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি তো থাকেনই। তবে কাঁচরাপাড়ার নেতা সুজিত দাস (বাপি), তিনি দলের একজন পুরনো কর্মী। তিনি সবসময় মমতা এবং অভিষেক পন্থী এবং একমাত্র অর্জুন সিং-কে নিয়েই তিনি চলছেন। বাকি আর কাউকে ডাকার সাহস তিনি পাচ্ছেন না। কাঁচরাপাড়ায় অর্জুন সিং এলে তাঁর সাথে কেউই দেখা করতে আসেন না। বিধায়ক,চেয়ারম্যানের কথা বাদ দিন,কাউন্সিলররা পর্যন্ত তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করছেন না। কিন্তু যখন ভাটপাড়ায় কোন কর্মসূচি হচ্ছে তখন বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং সাংসদ অর্জুন সিং-কে একসাথে হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে। কখনো অর্জুন সিং বলছেন,সুবোধ অধিকারী আমার ছোট ভাই। আবার কখনো সুবোধ অধিকারী বলছেন,আমার দাদা অর্জুন সিং। কিন্তু বীজপুরের নেতারা হয়তো এই ‘দাদা’ বলতে একটা আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ তাঁরা কেউই সাংসদের সাথে দেখাও করছেন না এবং কথাও বলছেন না। নেতা-নেতা ঠিক আছে, কিন্তু যত বাঁশ কর্মীদের দিকেই।

এদিকে এই কয়েকদিনের মধ্যেই দেখা গেল,বীজপুর থেকেই কয়েকজন নেতা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে দেখা করতে গিয়েছিলেন সাংসদের সাথে। প্রাক্তন এবং বর্তমান কয়েকজন কাউন্সিলর দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে গিয়ে। বিষয়টি হয়তো স্থানীয় নেতৃত্বরা জানেন না,কিন্তু তারা সাক্ষাৎ করে এসেছেন।

তবে তাঁরা সাংসদের বাড়ি গিয়ে সাক্ষাৎ করে আসছেন,অথচ সাংসদ এখানে এলে তাঁর সঙ্গে তাঁরা সাক্ষাৎ করছেন না, অদ্ভুত বিষয়! তবে কি তাদের উপরে কোন চাপ রয়েছে? নাকি তারা ভয় পাচ্ছেন? প্রশ্ন কিন্তু থাকছেই।

কিছুদিন আগেই এক নেতা কর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন,যদি কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে তবে খুব খারাপ হয়ে যাবে।

তবে এই যে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সাক্ষাৎ করে এলেন তবে কি তারা ভয় কাটিয়ে উঠেছেন ধীরে ধীরে?

আগামীতে বীজপুর অথবা কাঁচরাপাড়ায় এলে তাঁরা কি সাক্ষাৎ করতে যাবেন সাংসদের সাথে? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। তারা যদি সাংসদের বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেন তবে তারা তো এখানেও সাক্ষাৎ করতেই পারেন।

জানা যাচ্ছে,সাংসদের সাথে তাদের বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। তবে কি বিষয়ে কথা হয়েছে তা জানা যায়নি।

যারা সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে এমন একজন আছেন,যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ছিল তৃণমূলকে জয়লাভ করাতে।

এখন দেখার বিষয় এই যে, কোনদিনকে মোড় নেয় বীজপুরের রাজনীতি।