অবতক খবর,২৪ মার্চঃ অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ রাহুল গান্ধীর ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের প্রচারে মানহানিকার মন্তব্যের জন্য গুজরাটের সুরাটের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে তার দু বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছেন। এই বিষয়ে আজ অধীর রঞ্জন চৌধুরী তিনি বলেন যে ভারতবর্ষের মানুষ দেখতে পাচ্ছেন প্রতিহিংসার রাজনীতির যে কুৎসিত চেহারা তা পরিস্ফুটিত হচ্ছে। তিনি বলেন এই কুৎসিত চেহারা দিনের পর দিন আজকের যারা ভারতবর্ষের শাসক চাঁদের কর্মের দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি বলেন চার বছর আগে রাহুল গান্ধী কর্নাটকে ভোটের প্রচারে গিয়ে বলেছিলে, নিরব মোদী ললিত মোদী নরেন্দ্র মোদী সব পদবি কি করে এক হয় এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাটের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেস মোদী।
তার অভিযোগ ছিল রাহুল মোদি পদবীর সবাইকে অপমান করেছেন। মামলায় রাহুল গান্ধীকে দশ হাজার টাকার জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে এবং উচ্চতর আদালতে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করার জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। অধীর এই পরিপ্রেক্ষিতে বলেন তিনি বলতে চেয়েছিলেন যে ললিত মোদী নীরব মোদী বারবার মোদিদের নাম কেন আসছে, তিনি বলেন রাহুল গান্ধী বলতে চেয়েছিল বিভিন্ন অভিযোগে বারবার মোদি পদবী আসছে কেন এটা একটা কৌতুহল থেকে বলতে চেয়েছিল বলে তিনি জানান। তিনি বলেন নিরব মোদী ললিত মোদী ভারতবর্ষের ব্যাংকের সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা লুট করে বহাল তবিয়তে এরা বিদেশে ঘুরছে। তিনি বলেন জনসভার মধ্যে যেখানে কৃষি নিয়ে বেকারত্ব নিয়ে আলোচনা তার মধ্যে কখনো এই কথাটি এক লাইনে এসেছিল, যে কেন এত চোরদের মধ্যে মোদির পদবিতা এসে যায়। অধীর বলেন আমরা কথায় কথায় কত কি বলি। তিনি বলেন যদি এর ভিতর অন্যায়ের কোন কিছু দেখা যায় তাহলে কি দু বছরে সাজা হওয়া জরুরি ছিল। রাহুল গান্ধী কি দু বছরের সাজা হওয়ার মতো কোনো কথা বলেছে প্রশ্ন অধীরে র।
তিনি বলেন পরিকল্পিতভাবে তাকে দুবছরের সাজা দেয়া হয়েছে কারণ কারও সদস্যপথ খারিজ করতে গেলে তাকে দেখাতে হবে যে সে দু বছরের বেশি সাজা পাওয়া ব্যক্তি। বছরের নিচে যদি কেউ সাজা পায় তাহলে তার সদস্যপদ খারিজ হবে না। রাহুল গান্ধীর সদস্যপথ খারিজ করার জন্যই তার দু বছরের সাজা া ঘোষণা করা হয় বলে জানান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীর বলেন এটা কত বড় প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখলেই বুঝা যায়।