শীতের প্রহর। ডিসেম্বর মাস। 2019 সাল। চার বছর আগে ঘটেছিল এই ঘটনাটি।
ভারতবর্ষের নাম পাল্টে হয়ে গেল কি উন্নাও? এই দেশ মহাভারতের দেশ। মহাভারতে এই পর্বটি ছিল না। নতুনভাবে সংযোজিত হল এই ভারতে নতুন একটি পর্ব।
ভারত নামের পরিবর্তনঃ উন্নাও
তমাল সাহা
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত—
জনগণমন অধিনায়ক জয় হে-কে লাঞ্ছিত করে একটি শব্দ ভেসে উঠল উত্তর-পূর্ব গোলার্ধের আকাশে
এক মহাকালবেলা শনিবার রাতে–
উন্নাও! উন্নাও!
পেছন থেকে কে যেন উঠল বলে,
আগামী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নাও।
আন্তর্জাতিকে উঠল আলোড়ন,
সে এক মস্ত ঝাঁকি।
সবাই ভাবল,
ভারতবর্ষের নাম পরিবর্তন হচ্ছে নাকি?
সময়ের যাজ্ঞিক ঋত্বিক ঘটকের মেঘে ঢাকা তারা-সিনেমার
সেই ঐতিহাসিক সংলাপ বয়ে নিয়ে এল বাতাস।
এবার ভাষা পাল্টায় সেই সংলাপ,
হিন্দি উচ্চারণে বলে উঠল,
ভাইয়া,ম্যায় জিনা চাহতি হুঁ।
এই পোড়া দেশে কে বাঁচতে চায়?
কে কাকে বাঁচায়?
স্বরাষ্ট্র দপ্তর হটাও! স্লোগান তুলে
হাওয়া পর্যন্ত চেঁচায়।
ব্রাহ্মণরা ধ*র্ষক হয় নাকি?
তারা তো বর্ণে উচ্চ!
দলিত অন্ত্যজদের হাতে জল খায় না তারা,
অথচ সম্ভোগে নিম্নবর্ণের দেহ নয় তুচ্ছ!
নারীদেহ খায় তারা যেন খাচ্ছে ভাত
কামার্ত শরীর কি বোঝে ধর্ম-জাত!
ইনসাফ চেয়েছিল মেয়েটি
ছুটেছিল আদালতে।
ধ*র্ষকরা তাকে মাটিতে ফেলে পেটায়,
দাউ দাউ জ্বলে দেহ প্রকাশ্যে রাস্তায়।
এই দেশে নারীরা যাবে কোথায়?
এবার নারীমাংসের স্টল হবে—
ভারত পাড়াতে।
উইম্যান ফ্লেস অনলি অ্যাভেলেবল—
থাকবে লেখা বিভিন্ন ভাষাতে।
ঘটনাটি ঘটেছে দুই পর্বে
এক পর্বে ধ*র্ষণ,অন্য পর্বে হত্যা।
তখন কোথায় ছিল রাষ্ট্র?
এখন দেখো শবযাত্রায়
কি কঠোর নিরাপত্তা!
৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে যার,
তার তো শেষকৃত্য হয়ে গেছে।
দ্বিতীয়বার জ্বলবে কেন চিতা?
বাড়ির উঠোনে সমাধি হবে তার,
আসুন, ভারতবাসী সকল!
মন্দ্রকন্ঠে পাঠ করি শ্রীমৎ ভাগবৎ গীতা।