অবতক খবর:বিধানসভা ভোটের পর এবার সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আবার রাজ্য-রাজনীতির অভিমুখ নন্দীগ্রামের দিকে। ভোটের ভরকেন্দ্র যেন নন্দীগ্রাম। একুশের বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে এই আসনে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু। তারপর থেকে শাসক বিরোধী, দু’দলের কাছেই নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজ ফাইট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে গিয়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন শুভেন্দু অধিকারীকে। পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু। বিধানসভা ভোটের মতোই কি পঞ্চায়েত লড়াইয়ে নজর কাড়বে নন্দীগ্রাম?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে নন্দীগ্রাম জুড়ে জনসংযোগ কর্মসূচি রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। একের পর এক জনসংযোগ কর্মসূচি নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে শুরু করেছেন তিনি। এদিন ফের শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যে উঠে আসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা। শুভেন্দুর কথায়, ‘৫০০ টাকায় কিছু হয় না, আমরা ২০০০ টাকা করে দেব।’ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের শুভেন্দুর আশ্বাস, ‘ভোটের দিন আছি আমি। গণনার দিন আমি বাইরে ক্যাম্পে থাকব।’
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০২৩-এর প্রচারের শেষ বেলায় নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর গলায় শোনা গেল হুঙ্কার। তাঁর দাবি, ‘চোর মুক্ত পঞ্চায়েত আমরা চাই, আমরা দলের পঞ্চায়েত নয়, মানুষের পঞ্চায়েত চাই। ইতিমধ্যে ১৮-১৯ জন মারা গিয়েছেন। কী মধু আছে পঞ্চায়েতে? এ এক অদ্ভুত রাজ্য। আজও সকালে বীরভূমে বিজেপির একজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। রাজ্যজুড়ে অসংখ্য উদহরণ রয়েছে এমন। তৃণমূল জঙ্গলের রাজত্ব তৈরি করছে।’
ভোটের দিন নন্দীগ্রামে ভোট লুঠ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘আরও একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শওকত মোল্লার বাহিনী পাঠাচ্ছে এখানে। নৌকা করে বাহিনী ঢোকানো হবে। আমরাও দেখব। আমিও থাকব ভোটের দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরেছে, কিন্তু আপনারা দেখেছেন কীভাবে অত্যাচার করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আজকে যদি এখানে এই পার্টি নির্বাচিত হয় তাহলে এখানে শান্তি থাকবে না, অশান্তি বিরাজ করবে। আমরা এত সহজে ছেড়ে দেব না। কেষ্ট মণ্ডলকে আমরা শায়েস্তা করেছি।’
নন্দীগ্রাম থেকে সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, ‘এখন হাসপাতালে ঢুকে গেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট এলেই হাসপাতালে। ভোটের দিন নন্দীগ্রামকে অশান্ত করতে দেব না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখেছে, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন? এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দমন করা যাবে না। আমরা জানি ভোট লুঠ করতে আসবে, অন্তত একটা সাক্ষী পাওয়া যাবেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হচ্ছে ভূত, তাই আমরা জয় শ্রীরাম বলি ভূত তাড়াতে।’