রাজীব মুখার্জী :: অবতক খবর :: হাওড়া ::    ধুলাগড়ি সব্জি বাজারে কাজ করেন কয়েকশ শ্রমিক। পণ্য পরিবহন কারী লড়ি থেকে কাঁচা আনাজ ও অন্যান্য শাক সব্জি নামানো ও তোলাই তাদের একমাত্র পেশা। দীর্ঘ তিন মাস ধরে লকডাউনের জেরে অনেকেই আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। তাই নিজেদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ করার জন্যই নিজেদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানায় তারা এই সব্জি বাজারের মালিকদের কাছে। অবিলম্বে তাদের মজুরি ৪০% বাড়ানোর দাবিতে তারা বিক্ষোভ দেখায়। সেই মর্মে বাজারে রাতারাতি পোস্টার লাগানো হয় শ্রমিকদের তরফ থেকে।

 

শ্রমিকরা জানায় দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে অর্থাৎ চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে এই বিষয়ে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ লকডাউন এর টালবাহানায় বসে নি। তাই সমস্যার সমাধান হয় নি। যদিও লকডাউনের মধ্যে প্রতিদিন মার্কেট খোলা ছিলো। শ্রমিকদের এই দাবিকে নস্যাৎ করে বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায় অন্যান্য মার্কেট যেমন শেওড়াফুলি, শিয়ালদহ ও পাঁশকুড়া সহ অন্যান্য সবজি মার্কেট এর তুলনায় ইতিমধ্যেই ধুলাগড়ি বাজারে শ্রমিকদের মজুরি বেশি। সব বাজারের তুলনায় সর্বাধিক পারিশ্রমিক ধুলাগড়ি ট্রাক টার্মিনালে অবস্থিত সবজি মার্কেটে। তাই এরপরে আবার পারিশ্রমিক বাড়লে অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় তা আরো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হবে ধুলাগর ব্যবসায়ীদেরকেই।

তারা আরো জানান অন্যান্য বাজারে পণ্য পিছু বা বস্তা পিছু যা খরচা দাঁড়ায় তার থেকে কয়েক গুন বেশি এখানকার শ্রমিকরা পেয়ে থাকেন। এই অবস্থায় গতকাল কাঁচা সব্জি, ফলমূল বোঝাই লড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের কাজ করাতে পারেননি, যার ফলে একদিনেই ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকা। এই সব মিলিয়ে একদিকে যেমন বেশকিছু ব্যবসা বন্ধ এবং পাশাপাশি শ্রমিকরা তাদের মজুরি ৪০% না বাড়লে কাজ করবেন না বলেই জানাচ্ছেন। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন ধুলাগড়ি বাজারের শ্রমিক সংগঠন। এই অচলাবস্থা কাটিয়ে কবে আবার এই সব্জি বাজার তার চেনা ছন্দে ফিরবে তার দিকেই তাকিয়ে আছে ব্যাবসায়ী সহ সাধারণ মানুষ।