অবতাক খবর, সংবাদদাতা, টিটাগড :: মনিষ শুক্লার প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা নিয়ে চরম উত্তপ্ত গোটা রাজ্য ।ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে 12 ঘণ্টার বন্ধের মধ্যেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা পুলিশের সাথে গন্ডগোল জড়িয়ে পড়েন। এদিকে রাজ্য সরকার সিআইডির তদন্তের নির্দেশ দিলেই সিআইডির 3 আধিকারিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। আর তাদেরকে দেখেই মারমুখী হয়ে ওঠেন বিজেপি সমর্থকরা।
পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা ব্যাপক বৃষ্টি শুরু করে দেন। মিডিয়াকর্মীদের উপরে আঘাত আনার চেষ্টা হয়। অবশেষে পুলিশ কমব্যাট ফোর্স RAF সকলে মিলে ভিড কে সরিয়ে দিতে মাঠে নামে। ব্যারাকপুর ও ভাটপাড়ার এটা পুরনো চেনাজানা চেহারাই ফের যেন ক্যামেরার সামনে ধরা পড়ে
। একদিকে বিজেপি সমর্থকরা অর্জন পন্থীরা পুলিশের উপরে বৃষ্টি করছেন অন্যদিকে পুলিশ লাঠি উচু করে তার দিকে তেড়ে যায় । এরই মধ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় । পুলিশ পাল্টা টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটিয়ে তাদের দিকে তেড়ে যায়। এককথায় রণক্ষেত্র চেহারা নয় টিটাগর ঘটনাস্থল অঞ্চল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিআইডি তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে ভিডিওগ্রাফি করে বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে অনেকগুলো তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।
সন্ধের সময় সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা খুব শীঘ্রই মনির শুক্লার শুট আউটের রহস্য ভেদ করে দেবেন ।কারণ তাদের হাতে ইতিমধ্যে অনেকগুলো তথ্য চলে এসেছে। শুধু তাই নয় সিসিটিভি ফুটেজও উদ্ধার করেছেন তারা বলে জানিয়েছেন। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাদের তদন্ত গতিপ্রকৃতি দ্রুত এগোচ্ছে। তাছাড়াও ইতিমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দিয়েছে সিআইডি টীম।
অন্যদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় পরিষ্কার করে জানান যে রাজ্যের সিআইডি টীম এর উপরে তাদের কোন ভরসা নেই ।কারণ তারা পুলিশের বিরুদ্ধে কখনোই রিপোর্ট দেবে না। তাই নিরপেক্ষ সংস্থার কেন্দ্রীয় কোন এজেন্সিকে দিয়ে অথবা সিবিআই তদন্ত করানো প্রয়োজন আছে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু এই ঘটনার সাথে পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুরের নাম জড়িয়েছে তাই তাদের ভূমিকা কি সেইগুলো তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।