অবতক খবর: সম্প্রতি নন্দীগ্রামের ১৪ জন জখম তৃণমূল কর্মীকে এসএসকেএমে দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । হাসপাতলে দাঁড়িয়ে অভিষেক বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। সোমবার এক মামলার শুনানিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের নাম না নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু রাজনৈতিক নেতা আদালতের নামে উল্টোপাল্টা বলেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি না।’’ এর পরই মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেন বিচারপতি। মমতার নাম না নিয়ে বার কাউন্সিলের সম্পাদক বিশ্বব্রত বসু মল্লিকের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিমো এমন কথা বলেন না। তাঁকে দেখেছি, বিচারপতিদের সম্মান করেন। খুবই সহজ সরল মানুষ। দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ। অনেক নেতা-মন্ত্রীও আদালত সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন না।’’
প্রসঙ্গত, বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ নিয়ে অভিষেকের করা মন্তব্যের জেরে সোমবার হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তৃণমূল সাংসদের নাম না করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
এখানে বলে রাখা দরকার, গত শুক্রবার এসএসকেএম থেকে বেরোনোর সময় হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়েই বিচারব্যবস্থার একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘‘বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সমাজবিরোধীদের রক্ষাকবচ দিচ্ছেন।’’ অভিষেক এ-ও বলেন, যদি এই বক্তব্যের জন্য তাঁকে আদালত অবমাননার দায়ে জেলে যেতে হয়, তা হলে তিনি ১০ হাজার বার জেলে যেতেও রাজি! কিন্তু তিনি সত্য বলবেনই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেওয়ার কারণে এ ভাবেই বিচারপতি মান্থার নাম করে সমালোচনা করেন তিনি। অভিষেকের এই মন্তব্য ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
ইতিমধ্যে, অভিষেকের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। অভিষেকের এই মন্তব্য নিয়ে এ বার মুখ খুললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।