অবতক খবর: চোখের নিমেষে বছর ঘুরে গেল। ২০২২ সালের ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭ জন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। ধরা পড়ার পর, রামপুরহাটে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অস্থায়ী ক্যাম্পেই পাওয়া যায় লালনের ঝুলন্ত দেহ!
এই প্রসঙ্গে ভার্চুয়ালি সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইকাণ্ডে মুখ খোলেন। মমতা বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন,একটা ঘটনা ঘটেছে রামপুরহাটে, আমি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছি। তাঁদের ঘর বাড়ি থেকে শুরু করে, তাদের চাকরি দেওয়া থেকে শুরু করে সবটাই করেছি। কখনও মানুষ বিপদে পড়লে, তার পাশে দাঁড়ানো আমাদের কাজ। আমরা করব’।এভাবেই বীরভূমের দুররাজপুরে ভার্চুয়াল সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট প্রচারে বগটুইকাণ্ড নিয়ে বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগকে ভোঁতা করে দিলেন।
প্রসঙ্গত, লালন শেখের মৃত্যুর তদন্তে সিবিআইয়ের একাধিক আধিকারিকের নামে উঠে আসে। বগটুইকাণ্ডে তদন্তকারী অফিসারকে নোটিশ পাঠায় সিআইডি জানতে চাওয়া হয়, শেখের মৃত্যু কী ভাবে হল? সিবিআই হেফাজতে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন ছিল? এরপরই মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। লালন শেখের মৃত্যুতে আদালতের নজরদারিতে রাজ্য পুলিসের সিটকে তদন্তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য,২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে বীরভূমে ৯৩% আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল রাজ্যের শাসকদল। অনুব্রতহীন জেলায় সংখ্য়াটা এবার হাজারেরও বেশি। জেলা প্রশাসনের তথ্য, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে মোট ১০১৯ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে তৃণমূল।। গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৯১, পঞ্চায়েত সমিতির ১২৭ ও জেলা পরিষদের ১ আসনে গিয়েছে শাসকদলের দখলে।