অবতক খবর,৪ অক্টোবর,রুপম রায়,নদীয়া: নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সত্যনগর ছোট্ট একটা আদর্শ গ্রাম।এই গ্রামে বাস করেন বিশু প্রামাণিক।বিশু বাবুর একটি সেলুনের দোকান আছে কৃষ্ণগঞ্জ বাজারে। অভাবী সংসারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। বিশু বাবু স্ত্রী ও দুই মেয়ে। বড় মেয়ে জয়িতা প্রামাণিক কৃষ্ণনগর কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ছাত্রী বলে পরিচিত জয়িতা। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য কাজও সমানভাবে পারদর্শী হওয়ার মেয়ের পড়াশুনা ও অন্যান্য দাবি মেটাতে ব্যাস্ত বিশু বাবু। ছোটবেলা থেকেই তার ইচ্ছা সে মূর্তি তৈরি করা শিখবে। যথারীতি তার কলেজ থেকে মাটির কাজের জন্য প্রত্যেককে বাড়ি থেকে কিছু তৈরি করে নিয়ে যেতে বলে। সে এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে চাই এবং মাটির মূর্তি ভালোভাবে তৈরি করা শিখতে চাই। সে বাড়ির পাশেই এক পাল বাড়িতে মূর্তি তৈরি শেখার জন্য যায়। কিন্তু তাকে মূর্তি তৈরি শেখানো তো দূরের কথা তাকে পাল বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় না ।কারণ সে একজন নারী। কিন্তু তার অদম্য ইচ্ছা তাকে থামাতে পারেনি। সে মনে মনে ভাবতে থাকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি একজন নারী হয়ে, লড়াই করে গোটা রাজ্য টাকে পরিচালনা করতে পারেন তাহলে সে কেন পারবে না। যথারীতি তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি প্রকাশ ঘটে এক ফুট দুর্গা প্রতিমা বানানোর।সে নিজ হাতে যখন প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত তখন ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের ফলাফল জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ জয়িতা চিৎকার করে ওঠে দিদি আমি তোমাকে জয়ের জন্য ক্ষুদ্ধ উপহার দিতে চাই। প্রতিবেশীরা ছুটে আসে জয়িতার চিৎকারে। তারা শুনে জয়িতারএই অদম্য ইচ্ছাকে উৎসাহ দেন। তার ইচ্ছা একফুটে দুর্গা প্রতিমা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে উপহার স্বরূপ দিতে। জয়িতা মুখ্যমন্ত্রী কে জয়ের উপহার দিতে পারবে কিনা,তা সময়ই বলবে। তবে গ্রামের এহেন ছাত্রীর উদ্দোগে সকলেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। এখন দেখার জয়িতার শেষ ইচ্ছা পুরন হয় কিনা। আমরাও তার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।