অবতক খবর,১২ জুলাই: সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে হকার উচ্ছেদ নিয়ে পৌরসভাগুলিকে নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক তারপর একমাসের আলটিমেটাম।মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই পৌরসভাও মাইকিং প্রচার করে একসপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার বার্তা দেয়।

এই এক সপ্তাহের মধ্যে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করা হকার থেকে ব্যবসায়ীদের একাংশ নিজে থেকে সরে গেলেও,এক সপ্তাহের আলটিমেটাম শেষ হতেই এবার সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে আসরে নামলো ক্ষীরপাই পৌরসভা।পৌরসভার হালদারদিঘি মোড়ে ৪ নং ঘাটাল-চন্দ্রকোনা গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যসড়কের ধারে সরকারি জায়গা দখল করে ব্যবসা করা হকার ও ব্যবসায়ীদের দোকান ঘর দাঁড়িয়ে থেকে তুলে দিল ক্ষীরপাই পৌরসভা।

আজ পৌরসভার হালদারদিঘি মোড়ে রাজ্যসড়কের ধারে থাকা ছোটো মাঝারি একাধিক দোকান তুলে দেওয়া হয়,পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুপ্রিয় বসুর উপস্থিতিতে চলে সরকারি জায়গা দখল মুক্তের কাজ।

মাইকিং প্রচার সত্বেও এবং এক সপ্তাহের সময়সীমার মধ্যে এখনও সরকারি জায়গা বা ফুটপাত দখল করে রয়েছে এমন হকার থেকে ব্যবসায়ীদের আজকের মধ্যে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন পৌরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার সুপ্রিয় বসু।

আজকের মধ্যে সরকারি জায়গা থেকে না সরলে পৌরসভা নিজে থেকে সরিয়ে দেবে বলেও সরকারি জায়গায় বসবাসকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয়।দীর্ঘ বেশ কয়েকবছর ধরে ফুটপাতে ব্যবসা করে আসছে এবং পৌরসভায় ট্যাক্সও দিয়ে আসছে।

এভাবে ব্যবসা গুটিয়ে দিতে হওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ ব্যবসায়ী থেকে হকারদের।যদিও এবিষয়ে ক্ষীরপাই পৌরসভার চেয়ারম্যান দূর্গাশঙ্কর পান জানিয়েছেন,”মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আমরা প্রথমে মাইকিং প্রচার করে অবগত করেছি,একসপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।এর মধ্যে কেউ কেউ নিজে থেকে সরে গেলেও এখনও যারা রয়ে গেছে তাদের সরকারি জায়গা থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।

ফুটপাত বা সরকারি জায়গা দখল মুক্ত না করলে পৌরসভা কড়া ব্যবস্থা নেবে।পাশাপাশি উচ্ছেদ হওয়া ব্যনসায়ীদের জন্য বিকল্প চিন্তাভাবনার কথা জানিয়েছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান।মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো পুনাবার্সনের জন্য ইতিমধ্যে সার্ভের কাজ শেষ করে তার রিপোর্টও জমা দেওয়া হবে।

“সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করতে ঘাটাল মহকুমার ৫ টি পৌরসভার মধ্যে ক্ষীরপাই পৌরসভার তৎপরতা দেখা গেলেও বাকি চারটি পৌরসভার ক্ষেত্রে তেমন উদ্যোগ নজরে আসেনি আর তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।