হায়! চতুর্থ স্তম্ভকে কারা গিলে খায়। শিক্ষক আন্দোলন পড়লো অষ্টম দিনে। তার কোনো খবর নেই বাংলা খবরের কাগজের পাতায় পাতায়। কেন নেই? কে কার দালালি করে? তারা কি কিছু পায়? সমাজে সংবাদপত্রের দায়বদ্ধতা কোথায় যায়?
তবে কি সংবাদপত্র হবে দালাল? মানুষের পাশে দাঁড়াবে না কোনোকাল!
মাস্টারমশাইরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না খবরের পাতায়
তমাল সাহা
দালাল শব্দটির সঙ্গে
লাল শব্দটি যুক্ত হয়ে পড়ায়
আমি আঁতকে উঠি এবং ভয় পাই।
কেউ যেন না দেখে এদিক ওদিক তাকাই।
সংবাদপত্র কি তবে কোনো
অজানা ত্রাসে-সন্ত্রাসে ভয় পায়?
দালাল বা দালালি কতদূর যেতে পারে
সংবাদপত্র কি দালাল হয়
বা দালালি খায়?
তবে এত বড়বড় কাগজে কি লেখা হয় পাতায় পাতায়!
মানুষ শুধু উল্টেই যায়?
চতুর্থ স্তম্ভ শব্দটি শুনি, ঘনঘন কানে বাজে।
স্তম্ভটি কি ভেঙে গেছে?
চতুর্থ শব্দটি শুধু পড়ে আছে অকাজে!
বিগ হাউস কাগজে শিক্ষক আন্দোলনের খবর কোথায়?
আজ রবিবার সতেরো নভেম্বর
বাজার খুঁজি, সময় খুঁজি, ঘটমান খুঁজি, আজকাল পরশু খুঁজি
লুকিয়ে আছে কি সংবাদটি
কোনো পৃষ্ঠার কোণায়!
তন্ন তন্ন করে খুঁজে হন্যে হয়ে যাই
প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্তম্ভ কবেই লোপাট
চতুর্থ স্তম্ভ বেঁকে গেছে নাকি
ঝুঁকে গেছে, তোলে বুঝি হাই।
এবার নিশ্চিত চৌপাট।
চল্লিশ জন মাস্টারমশাই অনশন করে
শুয়ে আছে ঘনীভূত অন্ধকারে
খোলা পথে
মাথার উপরে ছাদ হয়েছে আকাশ।
দূর দূরান্ত থেকে জেলার পর জেলা পেরিয়ে শিক্ষকেরা আসে
ঐ দূরে বিশাল বিল্ডিং দেখা যায় পাশে—
বড় বড় করে লেখা ভবন
তার আগে যুক্ত বিকাশ।
আটচল্লিশ হাজার শিক্ষকেরা লড়াই করে
রাষ্ট্র তাদের কী বা তোয়াক্কা করে?
জল নেই, শৌচাগার নেই, মশার কামড় খা!
অধিকার! অধিকার! ওসব ফালতু কথা
সংবিধানে থাকে লেখা।
তাহলে কী হবে লড়াই?
ব্যর্থ হয়ে যাবে!
দুঃশাসনের শাসানি ছিল অনেক,
কী তার তড়পানি!
দ্রৌপদীর বস্ত্র ছিল দীর্ঘ বিবস্ত্রা করতে পারেনি।
হিটলারের কৌশল বোঝা গেছে অনেক
শেষে বাঙ্কারে আত্মহত্যা!
জনতা! জনতার লড়াই ছিল
শুধুমাত্র জয়ের রাস্তা।
শুনশান অন্ধকার,
অনশনকারীরা শুয়ে আছে।
গোল চাঁদ উঠে আসে রাতে
বলে, দুর বোকা! তোর সঙ্গে তো দেখা হবেই সূর্যের আসন্ন প্রভাতে।
প্রিয় পাঠক বন্ধু ,
আমরা এই “হররোজ” যে কলমটি চালাচ্ছি সেটাতে প্রতিবাদী কবি, কিছু কবিতা, মনের কথা বলছেন। এই লেখাটির সাথে অবতক খবরের কোন সম্পর্ক নেই। সম্পূর্ণটাই লেখক ও কবির ব্যক্তিগত মতামত।
সম্পাদক