অবতক খবর,৭ জুলাই: বর্তমানে তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায় প্রয়াত হয়েছেন ৬ জুলাই। আর ৭ জুলাই তাঁর শবদেহ কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে আনা হয়। কারণ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে।
কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে মরদেহ আনার পর পাড়া প্রতিবেশীরা সমবেত হয়। পরবর্তীকালে তাঁর শবদেহ নিয়ে যাত্রাকালে কিন্তু কাঁচরাপাড়ার রাস্তাঘাট পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে তেমন সাড়া জাগেনি।
রাজনৈতিকভাবে একটি প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমান বিজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে যোগসূত্র থাকলেও তিনি মরদেহ আনার পর মুকুল রায়ের বাড়িতে যাননি। হালিশহর মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য হয়। সেখানে বহু নেতা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, কাঁচরাপাড়ার পৌর প্রশাসক সুদামা রায়, হালিশহর পৌর প্রশাসক রাজু সাহানী,, ভাটপাড়ার সত্যেন রায় ,বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রাক্তন উপ পৌরপ্রধান মাখন সিনহা, প্রাক্তন কাউন্সিলর সুজিত দাস, সোনালী সিংহ রায়, রিঙ্কু সিংহ রায়, প্রবীর সরকার ,অংশুমান রায়, প্রণব লোহা, জিয়াউল হক, মৃত্যুঞ্জয় দাস, অশোক মন্ডল ,শম্পা শীল। এছাড়াও ছিলেন মিন্টু সামন্ত, রাজা সরকার।
কিন্তু লক্ষ্য করা যায় পার্থ ভৌমিক এবং সুবোধ অধিকারী সহ উল্লেখযোগ্য নেতারা হালিশহর শশ্মানঘাটে মুকুল রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেই চলে যান। এই কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের নেতৃত্ব যারা দেন, তৃণমূলের নেতা বলে যারা পরিচিত তাদের উপস্থিতি তেমনভাবে লক্ষ্য করা যায় নি। শশান ঘাটে দেখা যায় সিপিএম নেতা শম্ভু চ্যাটার্জীকেও।
সুবোধ অধিকারী বীজপুর বিধায়ক হলেও তিনি কেন বাড়িতে গিয়ে দেখা করেনি, এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন যে, সুবোধ অধিকারীর মা যখন প্রয়াত হন তখন রায় পরিবারের থেকে তাঁর সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করা হয়নি যদিও তাদের মধ্যে একটা পারিবারিক সংযোগ ছিল। বোধহয় এই কারণেই অভিমানে তিনি মুকুল রায়ের বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করেননি। কিন্তু শ্মশান ঘাটে গিয়ে তিনি মুকুল রায় ও পুত্র শুভ্রাংশু রায় সাথে সাক্ষাৎকার করলেন
মুকুল রায়, বর্তমানে তৃণমূল নেতা কিন্তু অঞ্চলে তৃণমূল যে দলীয় সদস্য তাদের মধ্যে এবং অন্যান্য কিছু নেতার মধ্যে তেমন সাড়া দেখা যায়নি। তাদের এই শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ বা শ্মশান ঘাটে উপস্থিত থাকতেও দেখা যায়নি। এই নিয়ে কাঁচরাপাড়াবাসীর মধ্যে একটা আলোচনা চলছে।
তবে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়,সুনীল সিং মুকুল রায়ের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে এসেছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।