অবতক খবর,১২ মার্চ, পশ্চিম মেদিনীপুর: ক্ষত্রিয় সমাজের বেশ কিছু দাবি-দাওয়া এরই সঙ্গে কিছু মানুষকে সংবর্ধিত করা সহ নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জেলা রাজপুত আর্য ক্ষত্রিয় সমাজের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ২০১৬ সালে ২৫ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনটি জেলায় রাজ্য সম্মেলন করা হয়। এরপর সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা প্রতিকূলতায় সংগঠনে কাজকে সীমিত রাখে।পরে করোনা পরিস্থিতিতে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে যোগাযোগ রেখে অনুষ্ঠান করা হয়।
এরপর ২০২১ সালে জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে চাঁদা ধার্য করে সাংগঠনিক কাজ শুরু করেছে এই সংগঠন।যদিও রাজ্য সরকারের বিধি নিষেধ রয়েছে বহু।তার দরুন এখনো পর্যন্ত সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের অধীনে নথিভুক্ত করা যায়নি। তবে সাংগঠনিক কাজ এগিয়ে চলছে এই সংগঠনের। এই সংগঠনের উদ্দেশ্যই হল স্বজাতীয় মানুষদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন, সেই সঙ্গে পিছিয়ে পড়া স্বজাতীয় মানুষের পাশে সাহায্য করা এবং পাশে থাকা। গত কয়েক বছরে এই সমাজে বিবাহের উপযুক্ত পাত্র-পাত্রী সন্ধান করার জন্য “প্রজাপতির দূতালি” নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।এরই সঙ্গে চিকিৎসা সংক্রান্ত সাহায্য করার উদ্দেশ্যে “শারীর সমাচার” নামক গ্রুপটিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজনে পরামর্শ দান করে থাকেন।পাশাপাশি এই ক্ষত্রিয় সমাজের মানুষের মধ্যে বহু সুপ্ত প্রতিভা আছে।
সেই প্রতিভাকে জাগিয়ে তোলার জন্য “ক্ষাত্রসারথি সাংস্কৃতিক চক্র” গড়ে তোলা হয়েছে। এরই সঙ্গে “ক্ষাত্র সারথী নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা হয় যাতে লেখা ছাড়া বিষয়ে কৃষ্টি-সংস্কৃতিক প্রভৃতি প্রকাশ পায় ক্ষত্রিয় জাতির। এইসব নিয়ে এদিন মেদিনীপুর শহরের শেষ প্রান্ত নদীর ধারে এই বাৎসরিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এই সমাজের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সিনহা রায়, ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান তারক সিংহ রায় এবং লক্ষীনারায়ণ সিংহ। যুগ্ম কনভেনার ছিলেন অনুপ কুমার সিংহ, রঘু নায়ক সিংহ। এরই সঙ্গে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেছেন পল্লব সিংহ, অভিজিৎ সিংহ দেব, ইন্দ্রজিৎ সিংহ।