অবতক খবর,২৮ ডিসেম্বর,নদিয়া: রক্তদান শিবির হয়েছে। অথচ আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ব্লক সভাপতিকে। এই নিয়ে শুরু তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। যার জেরে রক্তাক্ত করিমপুর। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী।

সূত্রের খবর, আজ করিমপুর জামতলা এলাকায় একটি স্থানীয় ক্লাবের উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়ের নেতৃত্বে জেলা সভাপতি জয়ন্ত সাহা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস ও অন্যান্য জেলা নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু ব্লক সভাপতি তরুণ সাহা সহ অন্যান্য স্থানীয় কাউকে এই রক্তদান শিবির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ।

এরপর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কিছু সদস্য কর্মকর্তা সহ বেশ কয়েকজন মানুষ জেলা নেতৃত্বের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপরই রড, লাঠি নিয়ে ওই বিক্ষোভকারীরা তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায় অভিযোগ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাদের করিমপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তবে বিধায়ক এর পক্ষ থেকে বিষয়টি তাদের নিজস্ব ব্যাপার বলে জানানো হয়।

এদিকে, এই বিষয়ে করিমপুরের বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায় সাফাই দিয়ে বলেন, “এটা আমাদের নিজেদের ব্যাপার। কিন্তু যেই ঘটনাটি ঘটেছে সেটি মোটেই সমর্থন যোগ্য নয়। এরপর যাতে আর না হয় সেই দিকে অবশ্যই নজর রাখা হবে।” অপরদিকে ব্লক সভাপতি বলেন, “একটি রক্তদান অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা এসে করিমপুরে দলকে বিভাজন করে দিয়ে চলে গেল। এই বিভাজনের রাজনীতি না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চান। সেই কারণে আমরা একটি ধিক্কার মিছিল বের করব আগামীকাল। সেই মিছিলে হাজার-হাজার মানুষ যোগদান করবে।”

এদিকে, এবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের হদিশ। আক্রান্ত হলেন নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর পুরসভার অন্তর্গত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা জুনিয়র ডাক্তার অনির্বাণ হালদার। বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত তিনি।

সূত্রের খবর, গত পরশু তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করার অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে জওহরলাল নেহরু মেডিকেল কলজে ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম জিয়ারুল মণ্ডল। বছর পয়ত্রিশের জিয়ারুলের বাড়ি হরিণঘাটা থানার অন্তর্গত মোল্লা বেরিয়া এলাকায়।