অবতক খবর,১৮ জুন: কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করে ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু শুরু থেকে লড়াই ছিল অত্যন্ত কঠিন। কোচবিহার লোকসভায় নির্ণায়ক রাজবংশী ভোটের একটি অংশ তৃণমূলের সঙ্গে থাকলেও অপর গোষ্ঠীর নেতা অনন্ত মহারাজ ছিলেন খোলাখুলি ভাবে বিজেপির সঙ্গে। তাঁকে সাংসদ করে রাজ্যসভায়ও পাঠায় বিজেপি।

কিন্তু বিজেপির সঙ্গে অনন্তের সম্পর্ক সব সময় মসৃণ গতিতে এগোয়নি। রাগ অভিমান বার বার ভেঙেছে মন ।যার এক অংশের ফায়দা নিয়েছেন তৃণমূলের ভোট বাক্স ।২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বীর চিলা রায়ের নামাঙ্কিত একটি অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা এবং অনন্তকে। কিন্তু তার পরবর্তী কালে অনন্তকে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে।আবার ওই মঞ্চে দেখা গেয়েছিল নিশীথ কে বক্তিতা দিতে |

অবশেষে অনন্তকে প্রচারে নামিয়ে আসন হারাতে হয় বিজেপির ।এর পর ক্রমশ বাড়তে থাকে দূরত্ব ।ক্রমশ বদলে যায় কোচবিহারে
চল চিত্র ।একে একে তার বাড়িতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতাদের ।সূত্রের খবর ,মঙ্গলবার বেলায় চকচকায় অনন্তের বাড়িতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদার্পণ সেই ধারণাকেই আরও পোক্ত করল বলে মনে করা হচ্ছে ।মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |

কনভয় ছোটে চকচকার দিকে। সেখানেই বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের বাড়ি। যে বাড়িকে স্থানীয়েরা ‘প্রাসাদ’ বলতে অভ্যস্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য অনন্ত অপেক্ষা করছিলেন বাড়ির বাইরে। মমতা সেখানে এসে পৌঁছতেই অনন্ত ছুটে এসে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। গলায় পরিয়ে দেন রাজবংশী উত্তরীয়। হাতে তুলে দেন রাজবংশী ঐতিহ্যবাহী গুয়াপান।