অবতক খবর,১৫ই মে,সংবাদদাতা,উত্তর চব্বিশ পরগনা: চির নূতনেরে দিল ডাক পঁচিশে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শয়নে স্বপনে জাগরনে। প্রতি মূহুর্তে রবীন্দ্রনাথ,সকালে ঘুম থেকে উঠে আবার রাতে ঘুমোতে গেলে মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর কথা। জীবনের প্রতিটি নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে জড়িয়ে রয়েছে রবিঠাকুর। আমাদের মনে চিন্তনে চির অধিষ্ঠিত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। গানে কবিতায় আবৃত্তিতে নৃত্যে বিশ্বকবির ১৬১ তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাল নববারাকপুর দূর্গানগরের রাজলক্ষ্মী আবৃত্তি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সন্ধ্যায় নববারাকপুরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে ছোট বড় সকলে কবিগুরুকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানে। প্রায় ৮২ জন শিশু থেকে বড় শিল্পীরা অংশগ্রহণ করে এদিন রবীন্দ্র জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ।
শুরুতে সমবেত উদ্বোধনী সংগীত ‘ হে নূতন দেখা দিক আরবার জন্মের প্রথম শুভ ক্ষণ.. . দিয়ে শুরু হয়েছিল। ছোট শিশু থেকে বড়দের সুরেলা কন্ঠে একক ও সন্মেলক রবিন্দ্র কবিতা লুকোচুরি মন ভরিয়ে তোলে। আবার দ্বৈত কবিতা প্রাণের রবি.. স্বরধ্বনি রবিঠাকুর একটা অন্য মাত্রা এনে দেয় এদিন। ছোটদের কিচিরমিচির সাধ এবং হৃদয় জুড়ে রবীন্দ্রনাথ কলতান বাউল উপস্থাপনা নজরকাড়ে। রবীন্দ্র সংগীত অন্ধকার উৎস হতে এবং আলোকের এই ঝরনা ধারায় জমিয়ে রাখে।
কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা নবীন ও প্রবীণ শিক্ষার্থীদের গানে কবিতায় আবৃত্তিতে নাচে জমে উঠেছিল ঘরোয়া স্বর্ণালী সন্ধ্যা। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষা সৌমী রাজলক্ষ্মীদের কন্ঠে আবৃত্তি ও দ্বৈত নৃত্য অসাধারণ পরিবেশন। প্রেমের জোয়ারে নৃত্য পরিবেশন দর্শকদের মুগ্ধ করে এদিন। একক সংগীতে কুমকুম দাস, বনানী দে এবং উৎসা করের একক গান ছিল বেশ ভালো। সংস্থার অধ্যক্ষা সৌমী দে রবীন্দ্রনাথের প্রতিচ্ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন সঞ্চালক শিক্ষক বাচিক শিল্পী অম্লান দাশগুপ্ত ।