অবতক খবর, সংবাদদাতা :: রাজ্যপাল নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুললেন স্বাস্থ প্রতি মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি কোনো রাখ ঢাক না করেই পরিষ্কার জানান যে রাজ্যপাল নিজেই নিজের গায়ে রাজনীতির রঙ লাগাচ্ছেন। তিনি বলেন রাজ্যপাল নাকি আইনজীবী ছিলেন। তাই ক্লায়েন্টকে পরামর্শ দেওয়ার স্বভাব যায়নি। তবে উনাকে মাথায় রাখতে হবে রাজ্য সরকার ওনার ক্লায়েন্ট নয়।
এখন প্রায় প্রতিদিনই খবরের শিরোনামে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাজের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কখনও কটাক্ষ, কখনও ময়দানে নেমে সরাসরি বিরোধিতা, কখনও বা সৌজন্যতা…রাজ্যপালের এ হেন ভূমিকায় এই মুহূর্তে ত্রস্ত তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, এবার রাজ্যপালের মন্তব্যের বিরোধিতা করতে আসরে নামবে তৃণমূল। সূত্রের খবর, জবাব দেওয়ার ভার আপাতত চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কাঁধেই বর্তাচ্ছে। দলের মধ্যে একাংশ বলছেন, বিরোধী দলনেতা দিলীপ ঘোষের থেকেও বেশি সক্রিয় রাজ্যপাল। সাংবিধানিক এক্তিয়ার থেকে বেরিয়ে মন্তব্য করছেন তিনি। এবার তাঁর মন্তব্য এড়িয়ে না গিয়ে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ দিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, মানুষের রায়ে সরকার চালান মুখ্যমন্ত্রী। কার চিঠির উত্তর দেবেন, কার দেবেন না, তা ঠিক করবেন মুখ্যমন্ত্রীই। শিক্ষা নিয়ে বাংলায় কোনও রাজনীতি হয় না। সম্প্রতি রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, ফারাক্কা সফরে হেলিকপ্টার দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন দেওয়া হয়নি, সে নিয়েও জবাব দিয়েছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, হেলিকপ্টারের খরচ বহন করেন রাজ্যের মানুষ। তিনি সকালে ঘুম থেকে উঠে রাজনীতির বাজারে বেরিয়ে পড়বেন, তা হয় না। তাঁদের জানাতে হবে কী কারণে হেলিকপ্টার প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন, বুলবুল কবলিত এলাকা পরিদর্শনে।
এরপর রাজ্যপালের সিঙ্গুরে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপাল ধনখড় মন্তব্য করেন, সিঙ্গুরে কী হয়েছে, তা সবাই জানে। এ প্রসঙ্গে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ জবাব, কেউ যদি বিজেপির মুখপাত্র হিসাবে কাজ করেন বলার কিছু নেই। আবার পাল্টা রাজ্যপালের কৌশলী জবাব, ক্রিকেটে সব বল খেলতে নেই, জানেন তো!
রাজ্যপাল আজ ফের হেলিকপ্টার প্রসঙ্গ তুলে জানান এতদূর গাড়ি করে এসে ও তার কোনো অসুবিধে হয় নি