অবতক খবর, কলকাতা: রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন কাঠামোতে বৈষম্যের অবসানের দাবিতে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ডেপুটেশন, জমা দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রাইমারী ট্রেন্ড টিচার্স এসোসিয়েশন(WBPTTA)।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি পিন্টু পাড়ুই এর বক্তব্য,’ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ষষ্ঠ পে কমিশন চালু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু রোপা ২০১৯ পে-ফিক্সেশনের বিঞ্জপ্তি অনুসারে দেখা যাচ্ছে সিনিয়র শিক্ষক এবং যে সমস্ত শিক্ষকেরা সদ্য জয়েন করেছেন এই দুই পক্ষের বেতন প্রায় সমান হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ১০-২০ বছর শিক্ষকতা করে যে ইনক্রিমেন্ট পেয়েছিলেন তা বর্তমানে বজায় থাকছে না।
এই বৈষম্য সারা পৃথিবীতে নজিরহীন।’ পিন্টু পাড়ুই আরোও বলেছেন,’ প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড পে ২৬০০ টাকার সঙ্গে ২০০ টাকা অতিরিক্ত গ্রেড পে যোগ করে ২৮০০ টাকা হওয়ার কথা। যার সঙ্গে পে ব্রান্ড যোগ করে বেসিক পে প্রস্তুত হত। সেই অনুসারে গ্রেড পে ১০০০ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পিবি-২ থেকে পিবি-৩ তে যাওয়ার ফলে বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষকেরা ৩৮০০ টাকা হিসেবে পাচ্ছে। ‘
এই নিয়ে পিন্টু পাড়ুই এও বলেছেন, কিন্তু রোপায় দেখা যাচ্ছে ২০০এজিপি তুলে দিয়ে প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড পে কেও ৩৬০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। শেষে Gross Salary-তে ৪০০ টাকা বেশি দেওয়া হচ্ছে, যা একজন ঝাড়ুদারের থেকেও কম। অন্যদিকে HRA ১৫ থেকে ১২ শতাংশ কমিয়ে দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা আগে ঘটেনি।
আর এই বেতন বৈষম্য পূরণের জন্য সোমবার সংগঠনের তরফ থেকে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় বিকাশ ভবনে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে।