অবতক খবর,৬ জানুয়ারিঃ মাসের পর মাস, বছরের পর বছর খোলা আকাশের নীচে কেটেছে তাঁদের। দাবি একটাই, যোগ্যতার নিরিখে চাকরি হোক। আদালতের হস্তক্ষেপে অবশেষে আশার আলো দেখলেন সেই চাকরি প্রার্থীরা। প্রায় ৬ বছর পর চাকরি পাচ্ছেন তাঁরা। দীর্ঘ লড়াই শেষে অবশেষে চাকরির মুখ দেখতে চলেছেন তাঁরা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম দশমে চাকরি পাচ্ছেন ৬৫ জন। অযোগ্যদের বরখাস্ত করার যে নির্দেশ আদালত দিয়েছিল, সে সব পদেই এই ৬৫ জনকে নিয়োগ করা হচ্ছে। কমিশনের অফিসে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং। দুর্নীতির কালো দাগ সরিয়ে আশার আলো দেখতে চলেছেন তাঁরা। ২০১৬ সালে এই নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। পরে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরির দাবিতে আন্দোলনে যোগ দেন। প্রায় ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন করেছেন তাঁরা।

এদিন সকাল থেকে প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে পৌঁছে যান তাঁরা। চলছে কাউন্সেলিং। মূলত স্কুল বাছাই করছেন তাঁরা। ৬৫ জনই চাকরি পাবেন বলে জানা গিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, চাকরি দিল আইন, সরকার নয়। নবম দশমের অপেক্ষমান তালিকা থেকে ডাক পেয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় ৬৬৩ দিন আন্দোলনের পর চাকরি মিলছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। এক চাকরি প্রার্থী বলেন, ‘এত বছর পরে হলেও চাকরিটা তো পাচ্ছি। এটাতেই খুশি। পরিবারের সবাই খুশি।’ আবার কেউ বলছেন, এতগুলো বছর নষ্ট হয়েছে যে আর চাকরি পাওয়া নিয়ে কোনও উত্তেজনা নেই। তবে যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁদের সাধুবাদ জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, এত দুর্নীতি হলে চাকরি হবে কীভাবে?

আদালতের নির্দেশে ১০২ জন ‘অযোগ্য’ চাকরি প্রার্থীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। অবিলম্বে সেই সব পদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু কমিশন জানিয়েছিল, ৬৫ জনের নাম আছে ওয়েটিং লিস্টে। সেখান থেকেই নিয়োগ করা সম্ভব। ২০২২-এর ডিসেম্বরের মধ্যেই তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে কমিশন সময় চেয়েছিল আালতের কাছে।