অবতক খবর :: কালিয়াচক থানার পুলিশ কখনও কড়া হাতে আইন-শৃঙ্খলা সামলাচ্ছে আবার কখনও মানবিক হতে দেখা যাচ্ছে। লকডাউন ভঙ্গকারীদের কখনও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, কখনও লঘু শাস্তি দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অবস্থা বুঝে লকডাউন ভাঙা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে কালিয়াচকের পুলিশ। আবার লকডাউনে দুঃস্থ গরিব মানুষদের দোড়ে পৌঁছে ত্রাণ দিয়ে আসছে তারা। সবমিলিয়ে ‘দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন’ এই সূত্র ধরে লকডাউন মোকাবিলায় নেমেছে পুলিশ।
কালিয়াচক থানা এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও কোথাও বাজারে ভিড়, অকারণে ঘোরাঘুরি এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে দোকানপাট খোলা রাখার জন্য লকডাউন কার্যত সফল হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছিল। যদিও মানুষ ক্রমশ দেরিতে হলেও সচেতন হচ্ছেন। লকডাউন ভঙ্গ করার অভিযোগে রবিবার সারাদিন ধরে কালিয়াচক থানার পুলিশ ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে পিকআপ ভ্যান করে ১৩ জনের একটি দলকে আটক করা হয়েছে। অকারণে বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরির অভিযোগে ১৭টি মোটর বাইক-সহ ৩৫ জনকে গ্রপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউন ভঙ্গ করলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। মানুষের স্বার্থে লকডাউন মানতে হবে। না মানলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা।
কালিয়াচক থানার আইসি আশিস দাস বলেন, “করোনা রুখতে লকডাউন মেনে চলতে হবে। কালিয়াচকে বাজার এবং মোড়ে জমায়েত ও একসাথে আড্ডার খবর আসছিল। বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে লকডাউন পালন করার বার্তা দিচ্ছেন। এবং লকডাউন ভঙ্গের দায়ে পুলিশ ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
’’ পুলিশ প্রশাসন লকডাউনে আরো কড়া মনোভাব গ্রহণ করেছে এদিনের বিশেষ অভিযান ও গ্রেপ্তারের ঘটনা তারই প্রমাণ। গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। গরিব মানুষের হাতে চাল, ডাল, আলু, তেল-সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং ইতিমধ্যে কিছু দুঃস্থ মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হয়েছে এবং ৩০০ জনের হাতে বেবি ফুড ও দুধ দেওয়া হয়েছে।