অবতক খবর,১৭ ফেব্রুয়ারি,মালদা:- লোকালয়ের মধ্যে বাংলা-বিহার সীমান্ত এলাকায় খুলছে মদের দোকান। বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়ায় বিহার থেকে অনেকেই মদ খাওয়ার জন্য ভিড় জমাতে পারেন সেখানে। এদিকে পাশেই রয়েছে কয়েকটি বিদ্যালয়। ওই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয় ছাত্র-ছাত্রী সহ এলাকার সাধারণ মানুষকে।ফলে নষ্ট হতে পারে এলাকার পরিবেশ। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে এলাকার মেয়েরা।আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশংকা। মদের দোকান খুলতে না দেওয়ার দাবিতে এবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। বিক্ষোভে সামিল শিক্ষক এবং পড়ুয়ারাও। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত প্রধানও সমর্থন জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীদের দাবিকে। সমগ্র ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত সরণপুর থেকে ভাটোল যাওয়ার রাস্তায় ইট ভাটার পাশে খুলছে সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত একটি দেশী এবং বিলিতি মদের দোকান। বিহার সংলগ্ন এই এলাকা।স্থানীয় সূত্রের খবর কিছু দিনের মধ্যে শুরু হবে ওই মদের দোকান।
মদের দোকানে ভিড় জমাবেন সুরাপ্রেমী মানুষেরা। মদ্যপ অবস্থায় অনেক সময় তাদের মধ্যে বাধঁতে পারে ঝামেলা। ফলে এলাকার পরিবেশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে। ওই এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়। রয়েছে শিশুদের নার্সারি স্কুল। হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজ যাওয়ার ক্ষেত্রেও ওই রাস্তার উপর দিয়ে যেতে হয়। নার্সারীর পড়ুয়া থেকে কলেজের ছাত্র-ছাত্রী সকলেই ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। রয়েছে মন্দির এবং মসজিদ।পড়ুয়ারা মদের দোকানের সামনে দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে এলাকার মেয়েরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ বাড়বে চুরি ছিনতাই। পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারে মদ বন্ধ। ফলে বিহার থেকেও অনেকে ভিড় জমাতে পারেন সেখানে। এলাকায় বাড়তে পারে সমাজ বিরোধীদের আনাগোনা। তাই মদের দোকান খুলতে না দেওয়ার দাবিতে এবার একজোট এলাকাবাসী। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন। ছোট ছোট পড়ুয়ারাও জানাচ্ছে মদের দোকান খুলতে দেওয়া যাবে না। বিক্ষোভে হাজির স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং পঞ্চায়েত প্রধান। তারাও সমর্থন জানাচ্ছেন এলাকাবাসীর দাবী কে।এই ভাবে লোকালয়ের মধ্যে মদের দোকান খোলার অনুমতি প্রশাসন কি ভাবে দিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন?। যদিও এই নিয়ে দেশী বিদেশি মদের দোকানের মালিক রাহুল প্রমাণিক এই নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।