অবতক খবর,২৬ জুলাইঃ আজ বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ ই এম বাইপাস সংলগ্ন। ভিআইপি বাজারের কাছে ফিরহাদ হাকিম এবং দেবাশীষ কুমার বৃক্ষ রোপনে আসেন। সেখানে এসে ফিরহাদ হাকিম জানান ,শহর কলকাতায় মোট এক কোটি চারা গাছ রোপণ করা হবে। কারণ ভারতবর্ষে দুটি মেট্রো শহর ।কলকাতা এবং দিল্লী। যেগুলি সমুদ্রের তীরে অবস্থিত নয় ।যার ফলে এখানে দূষণের মাত্রা অনেক বেশি। এই দুটি শহরের সরাসরি জলীয় বাষ্প ঢোকে না।বৃক্ষরোপণ না করলে, অদূর ভবিষ্যতে শহর কলকাতা একটি গ্যাস চেম্বারে পরিণত হবে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ই এম বাইপাস সংলগ্ন প্রচুর জায়গা রয়েছে। যেগুলো কর্পোরেশনের সেগুলো অনুমতি ছাড়াই কোথাও রেস্টুরেন্ট,কোথাও রেস্তোরাঁ, তারা গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কোথাও মাটি ফাঁকা রাখেনি। সেখানে কোন অনুমতি ছাড়াই কংক্রিটের পার্কিং লট বানিয়েছে। কোথাও বা দোকান বানিয়ে অনেকে গাছ লাগানোর জায়গা নষ্ট করেছে। তিনি এ উল্লেখ করে বলেন, রুবী মোড়ে,যে সমস্ত পাসপোর্ট অফিসের দালাল রয়েছে তারা সেখানে যেভাবে জায়গা দখল করে বসেছে ,তাতে অনেকটা বৃক্ষ রোপনের জায়গা নষ্ট করেছে। তাদেরকেও ওখান থেকে তুলে দিতে হবে।এছাড়া বাইপাসের পাশে ঝুপড়ি দোকান তো রয়েছেই।

১.এবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পুরস্কার নিতে গেলে লিখিত জানাতে হবে,তিনি পুরস্কার ফেরত দেবেন না বলে।

আসলে একটা সরকার কোণঠাসা হয়ে গেলে নিজের দিক দিশা হারিয়ে ফেলে, তার নীতি থাকেনা। তখন সে স্বৈরাচারী হয়ে পড়ে। এগুলো তারই প্রদর্শন ।আমার কাছ থেকে পুরস্কার নিতে গেলে আমাকে ডিক্লারেশন দিতে হবে। সেই পুরস্কার আমি রাখবো না রাখবো ,সেটা তো আমার ব্যাপার। পুরস্কার দেওয়া না দেওয়া তার ব্যাপার। পুরস্কার আমি ফেলে দেবো? কি ফেলে দেব না ?সেটা তো আমার ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথ নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন, ব্রিটিশ সরকার তার কাছ থেকে দাস খত নেন নি।

আসলে গব্বর সিং। তাকে সবাই দেখে ভয় পায়। কিন্তু সে যে সবাইকে দেখে ভয় পায় ।সেটা কেউ জানে না।

শুভেন্দুর টুইট, আমলা আধিকারিকদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে-

প্রশাসন একরকম ভাবে চলছে। আমলা যাদের প্রয়োজন আছে তাদের সরকার রাখবে। এমন অনেক আছে,তাঁদের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো সম্পর্ক নেই। পিজি হাসপাতালের ডাক্তারের এক্সটেনশন হয়েছে অর্থাৎ তার মতো অভিজ্ঞ ডাক্তার নেই ।তাই তার এক্সটেনশন হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে-

কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনকে বলছি, ইউপিতে যখন হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে, গুলি করা হল? তার রিপোর্ট চাওয়া হয়নি কেন? মনিপুরে যখন ধর্ষণ করা হচ্ছে লাঞ্ছনা করা হচ্ছে ।তার রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে না কেন? সুপ্রিম কোর্ট কালকে প্রশ্ন করেছে, যেখানে আপনাদের সরকার ।সেখানে এক নিয়ম। যেখানে আপনাদের সরকার নেই সেখানে আর এক ধরনের নিয়ম কেন?

কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনকে বিজেপির ল্যাঙট বলে উল্লেখ করেন ফিরহাদ হাকিম।

একশ দিনের কাজ নিয়ে দেবের চিঠির উত্তর প্রসঙ্গে-

আইন আইনের পথে আছে , আমাদের উপেক্ষা করা হচ্ছে ।বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। ৫ তারিখ আমরা ঠিক জবাব দেব।