অবতক খবর,১৪ আগস্ট,মলয় দে নদীয়া:-আর জি কর ঘটনার পর রাজ্যের প্রায় সমস্ত হাসপাতালেই কর্মবিতির ডাক দিয়েছে নার্স ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা । এবার অন্য চিত্র দেখা গেল শান্তিপুর স্টেট্ জেনারেল হাসপাতালে ।

এদিন রাজ্য জুড়ে ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের কর্মবিরতির ডাক সত্তেও রোগীর চিকিৎসায় বদ্ধপরিকর ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা। এদিন হাসপাতালের মূল বহিরবিভাগ বন্ধ রেখে হাসপাতালের পেছন দিকে অস্থায়ী বহিরবিভাগ তৈরী করে চলছে রোগীর চিকিৎসা। ডাক্তার দের তরফে জানানো হয়েছে একদিকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার দাবি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং অস্তিত্ব সংকটের আন্দোলন অন্যদিকে সামাজিক দায়বদ্ধতা তাই রোগী যাতে কোনভাবেই সমস্যায় না করেন সেই কারণে আউটডোর ঘর বন্ধ রেখে অন্যত্র একই পরিষেবা দেওয়া।

আর পাঁচটা সাধারণ দিনের মতন আউটডোর হয় ততক্ষনই আমরা রোগীদের চিকিৎসা করবো। এমনকি প্রসূতি মায়েদের ,সদ্যজাত শিশুদের চর্ম দাঁত চোখ অস্থি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভাগও খোলা রয়েছে স্বাভাবিকভাবে এক্সরে সহ বিভিন্ন প্যাথলজিকাল টেস্ট ও চলছে যথাযোগ্য ভাবেই. বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে ওষুধ বিতরণ অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা সবকিছুই রয়েছে ঠিকঠাক.।

অন্যদিকে রোগীর পরিবার থেকে জানানো হচ্ছে ন্যূনতম টিকিটের মূল্য ২ টাকা করে নেয়া হলেও আজ সেটা লাগছে না। তবে প্রথমে একটু অসুবিধা সম্মুখীন হতে হয়েছিল আউটডোরের মূল জায়গায় যেটা পরিচিত সেখানে ডাক্তার বাবুরা ছিলেন না তবে কিছুক্ষণ বাদে জানতে পেরেছেন পেছনের দিকে আউটডোর চলছে। তবে তারাও ডাক্তারবাবুর এই আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও হাসপাতাল সুপার আজ জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তবে তিনিও জানিয়েছেন কোনোভাবেই হাসপাতাল পরিষেবা ব্যাহত হবে না।
অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নার্সিং সুপারেনটেন্ট সকলেই জানিয়েছেন এই নৃশংস মর্মান্তিক ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য আরো সুরক্ষার ব্যবস্থা করুক সরকার। শান্তিপুর হাসপাতাল সম্পর্কে তারা বলেন এখানে যথেষ্ট সহযোগিতা পাওয়া যায় পুলিশ প্রশাসন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তবে নিরাপত্তার দিক আরো সুরক্ষিত করার প্রয়োজন রয়েছে কারণ আরজি করের মতন একটি অতি পরিচিত মেডিকেল কলেজে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাই একদিকে আগামীর ভাবি ডাক্তার সহ সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা অন্যদিকে নির্যাতিতা এবং হত্যা করা শুধু এক ব্যক্তি নয় এর সঙ্গে যুক্ত সকলকেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা দরকার আর সেই কারণেই রাজ্য জুড়ে এই আন্দোলন।

তবে শুধু মহিলারাই অসুরক্ষিত তাই নয় কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষদের লাঞ্ছনারও পাওয়া যায় অনেক ক্ষেত্রে রোগীর দূরেরোগ্য ব্যাধি সংক্রামক জীবাণু অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা করা চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্য কর্মীদের কেও লাঞ্ছিত হতে হয় মাঝেমধ্যেই। সে বিষয়েও সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার।