আবতক খবর, দেবাশিস মালিক, কুলপি:- মথুরাপুর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে কুলপি বিধানসভা কেন্দ্রে বড়োসড়ো ভাঙন ধরাতে চাইছে বিজেপি l মথুরাপুর জেলা বিজেপি সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন, মহালয়ার পুণ্য লগ্নে, শারদ উৎসবের আগেই এই বিধানসভা কেন্দ্রে কুড়ি হাজার কর্মী সমর্থক , আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করবে বলে তিনি দাবি করেছেন l মথরাপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা প্রকাশ্যেই মঞ্চে হুমকি দিয়ে দাবি করেছেন,কুলপি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি বলে কিছু থাকবে না, এই দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়ে , বিজেপি মথুরাপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় বলেন বিজেপি কুলপিতে আছে থাকবে l বিজেপিতে মানুষ আসছে l বিজেপি মানুষ পছন্দ করে l শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এর কাছ থেকে সবকিছু পাওয়া হয়ে গিয়েছে l তারা এবারে বিজেপি মুখি হচ্ছে।

বিজেপিতে যোগ দিচ্ছে , সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ l ওরা হয়ত ভয় দেখিয়ে মামলা করে সাধারণ মানুষকে কাছে টানার চেষ্টা করবে l সাধারণ মানুষ ভয়ে আতঙ্কে হয়তো ওদের সঙ্গে থাকবে l কিন্তু পর্দার আড়ালে তারা ভোট দেবে বিজেপিকে – কেন্দ্রের মোদি সরকার কে l একমাত্র কেন্দ্রের মোদি সরকার মহিলাদেরকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য প্রত্যেকের ব্যাংকে 500 টাকা করে দিয়েছেন l আর আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আম্ফান ঝড়ের সাধারণ মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন l তখন সেই সেই সাহায্যের হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা থেকে, গ্রাম সদস্য ও সদস্যা সবাই তার আত্মীয় পরিজন কে ঘর পাইয়ে দিয়েছেন l প্রকৃত সাধারণ মানুষ ঘর পাইনি l এককথায় তৃণমূল কংগ্রেসের খাবে , ভোট দেবে বিজেপিতে l অনেক পঞ্চায়েত প্রধান ভিতরে ভিতরে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে তিনি দাবি করেন l এদিকে কুল্পি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুপ্রিয় হালদার এই সম্পর্কে বলেন, বিজেপিতে এখন আর কেউ যাবে না, মানুষ উন্নয়ন এর সাথে থাকতে চায় l আম্ফান ঝড়ের যে দুর্নীতির কথা যারা অভিযোগ তুলছেন তারা নিজে আম্ফান ঝড়ের দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন l আমাদের পরিবারের লোকজনও আম্পানের ঘরের টাকা পেয়েছেন l এসব কথা তাদের মুখে মানায় না l প্রশাসন যেভাবে ফোরম্যান কমিটি গঠন করে দিয়েছে, সেখানে সায় কংগ্রেস, বিজেপি,সিপিএম l পঞ্চায়েতের কোন প্রধান বিজেপির সাথে যাবে না l পাল্টা ভাবে মথুরাপুর জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর রায় জোরালো ভাষায় বলেন, আম্ফান দুর্নীতিতে কুলপি ব্লকে এক নম্বরে রয়েছে কেওড়াতলা গ্রাম পঞ্চায়েত l এরপর আরো পঞ্চায়েত রয়েছে l সবমিলিয়ে ভোট যতই এগিয়ে আসছে ততই শাসক দল বিরোধী দলের যোগদান পর্ব নিয়ে নানারকম গুঞ্জন শুরু হয়েছে l