অবতক খবর,২ সেপ্টেম্বর: কাঁচরাপাড়া শিবানী হাসপাতাল,কাঁচরাপাড়ার অন্যতম আরোগ্য কেন্দ্র যেখানে বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। সেখানে প্রতি বুধবার প্রচুর শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। কাঁচরাপাড়া শহর ছাড়াও এখানে আশেপাশের অঞ্চল যেমন-হালিশহর,জোনপুর, গয়েশপুর থেকে মায়েরা তাদের শিশুদের ভ্যাকসিন দিতে নিয়ে আসেন। কিন্তু এখন করোনা কাল চলছে। ফলে একসাথে অনেক মানুষ জমায়েত করতে পারবে না। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ম করেছেন যে,প্রতি বুধবার মাত্র ৩০ জন শিশুকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
যেখানে শয়ে শয়ে শিশু ভ্যাকসিন নেয়, সেখানে মাত্র ত্রিশ জন শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে সৃষ্টি হয়েছে চরম বিশৃংখল অবস্থা।
ভোর থেকে শয়ে শয়ে মানুষের লাইন পড়ছে সেখানে। এদিকে সেখানে নেই কোন বসার জায়গা। শিশুদের অভিভাবকদের কাছ থেকে জানা গেছে,যারা হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেন গত বুধবার তারা এসেছেন দুপুর ১২টায়। ফলে সেই ভোর থেকে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে ১২টার পর ভ্যাকসিন পেয়েছেন। এমনকি মেইন গেট বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা ভোরবেলা থেকে গেটের বাইরে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। গেট খোলার পরেও ভেতরে গিয়ে দেখা যায় সেখানে একটি মাত্র বসার জায়গা এবং সেখানে মাত্র ৪-৫ জন বসতে পারবে। আর এই অবস্থায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেইনটেইন করা তো দূর সেখানে দাঁড়ানোরও জায়গা থাকে না। যা নবজাতক শিশু এবং অন্যান্য শিশুদের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। তার উপর সেখানকার কর্মীদের বাজে ব্যবহার তো উপেক্ষাই করেন রোগীর পরিবার।
এখন প্রশ্ন,যদি এই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষ মাত্র ৩০ জন শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,তবে কেন মাত্র একটি দিন ধার্য করেছেন তারা? আর কে বা কারা ঠিক করল যে দিনে মাত্র ৩০ জন শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে?
গত বুধবার এই নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন রোগীর পরিবার। ঝামেলার পর ৬০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি সময়সীমা থাকে,শিশুদের ভ্যাকসিন নেওয়ার একটি সময়সীমা থাকে। যদি এই অবস্থাই চলতে থাকে তবে সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে তো একটি শিশুর নির্দিষ্ট একটি ভ্যাকসিন বাদ পড়বে,যা শিশুর পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং পৌর প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যে, বিষয়টির তাৎপর্য বুঝে বিষয়টিতে যেন গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সমাধান করা হয়। যাতে মানুষ হয়রানির শিকার না হন।