অবতক খবর , রাজ্ , হাওড়া :- শুভেন্দু অধিকারী গতকাল তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তার যোগদানের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই রাজনৈতিক সংঘর্ষের সূত্রপাত হাওড়ার ডোমজুড় বিধানসভার অন্তর্গত নান্নান পঞ্চায়েত এলাকা। মারধর ও বাড়ি ভাঙচুর কে কেন্দ্র করে গতকাল শীতের রাতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিবাদমান দুই দলের দাবি তাদের উপরে আক্রমণ করে হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের নান্নান পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বুবাই চক্রবর্তী অভিযোগ করেন গতকাল রাতে তিনি তার বাড়ির সামনে একা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাকে একা পেয়ে তার উপরে চড়াও হয় বিজেপির কর্মীরা। তাকে মারধর ও তার বাড়ি ভাঙচুর করে ওই কর্মীরা , বলেই তিনি অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন তার এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব আছে। তাই তাকে প্রাণে মেরে ফেলতেই বিজেপির তরফে তার উপরে হামলা চালানো হয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন তাকে সরিয়ে দিল এই এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে সুবিধা হবে বিজেপির। তাই এই আক্রমণ বলে তিনি দাবি করেন।

শাসক দলের ওই অভিযোগকে অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ আনেন বিজেপির ৩ নম্বর মন্ডলের সভাপতি শোভন নস্কর। তিনি অভিযোগ করেন তাদের উপরেই হামলা চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। তার উপরে হামলা হয়।তাকে মারধর করে ও তার বাড়ি ভাঙচুর করে তৃণমূলের ঠ্যাঙ্গারে বাহিনী। তিনি অভিযোগ করেন ঘটনার বিষয় প্রশাসনের কাছে জানাতে তিনি ডোমজুড় থানায় আসেন। সেখানে থানার পিছনে শাসক দলের লোকেরা প্রচুর সংখ্যায় সশস্ত্র জমায়েত করে ছিলো। প্রতিটা লোকের হাতে তলোয়ার থাকার অভিযোগ আনেন তিনি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন থানার সামনে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে হাতে তলোয়ার নিয়ে শাসক দলের ১০০-১৫০ জনের জমায়েত থাকার পরেও পুলিশ প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেই নি। বরং তাদের কেই সেখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয় থানার তরফ থেকে। তাই তারা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত বিধানসভার নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য রাজনীতিতে যে দল বদলের হিড়িক শুরু হয়েছে। তাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। গতকাল শাসক দলের প্রাক্তন মন্ত্রী সহ বহু নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান করেছেন। শুভেন্দুর পরেই শাসক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন যে সমস্ত নেতা মন্ত্রী তার মধ্যে বারবার উঠে আসছে ডোমজুড়ের শাসক দলের বিধায়ক ও রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
এই পরিস্থিতিতে শাসক ও বিজেপি দুই পক্ষই এই বিধানসভা এলাকার মধ্যে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব ও এলাকা দখলের রাজনৈতিক চেষ্টা চালাতে থাকবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ। যার ফলে বিধানসভার ভোট যত সামনে আসবে এই ধরণের রাজনৈতিক সংঘর্ষ ঘটতে থাকবেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।