অবতক খবর:পঞ্চায়েতের দিন ক্ষণ ঘোষণার দিনই ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঘোষণার পরেই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়। তার ঠিক পরদিনই এই কর্মসূচির বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করা হয়। এই কর্মসূচি সহ আরও ৩ বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
অভিযোগ পাওয়ার পরও কেন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন, তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রশ্ন করে কমিশনের কাছে। মামলাটি ফের শুনানি দুপুর ১টা থেকে। এ দিনই কমিশনের বক্তব্য জানতে চেয়েছে আদালত।
মামলার শুনানি শুভেন্দুর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী সওয়াল করে বলেন,’ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে যে নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে তা আসলে দিদিকে বলো কর্মসূচির নম্বর। এই পরিষেবা এখনও চলছে।’ এর সঙ্গে আইনজীবী জানান, নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর তৃণমূলের এক জেলা পরিষদ প্রার্থী টাকার বিনিময়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া তিনি আদালতে বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথকে তৃণমূলের প্রচারে দেখা গিয়েছে। তিনি কী ভাবে জেলায় সুষ্ঠ ভাবে ভোট পরিচানা করবেন।’ আইনজীবীর চার নম্বর অভিযোগ, ‘ভোট ঘোষণার পরও পুলিশের আইজি কয়েকজন পুলিশ আধিকারিককে বদলি করেছেন।’ এ সবই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের সামিল।
উল্লেখ্য,বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আধিকারী অভিযোগ করেন,’কর্মসূচিতে যে নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচিতে।’ তা পঞ্চায়েত ভোটের আগে আদর্শ আচারণবিধি লঙ্ঘন। এই সবের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা।