অবতক খবর,১৭ জানুয়ারি: আজ সাংবাদিক বৈঠকে অধীর রঞ্জন চৌধুরী বললেন যে তৃণমূলে এক ব্যক্তি কে ধরে দল চলছিল, সেটি কতদিন ধরে চলতে পারে। এই দলটাই লুটপাট চুরি-ছিনতাই ,দালালি ও কাটমানি এইসব নিয়েই চলছে, সেটা কতদিন চলতে পারে।

তার তো একটা শেষ আছে, তৃণমূল দল এখন মধ্য গগন পার হয়ে অস্তমিত হওয়ার অপেক্ষায়। প্রকৃতির নিয়মে তৃণমূলকে যেতেই হবে, তাই এই ধরনের মারামারি কাটাকাটি অন্তঃকলহ দিনের পর দিন বাড়বে। তিনি বলেন আজকে তৃণমূল পঞ্চায়েতে যাতে অনাস্থা না আসে তার জন্য পুলিশকে কাজে লাগিয়েছে।

পুলিশ অনাস্থা ঠেকাবে। তার আগে আড়াই বছর পর্যন্ত অনাস্থা আনা যাবে না বলে তারা আইন করল, কারণ তারা জানে পঞ্চায়েত এবং পৌরসভায় যেভাবে লুট হচ্ছে আমার দলের লোকদের আমি ঠকাতে পারবো না তিনি আরো বলেন একটি দলের যদি মূল সুর এটাই হয় যে কামিয়ে নাও তাহলে তালের সেই দলের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে সেটা এখন দেখলেই বুঝতে পারা যায়। তিনি আরো বলেন রাজ্যে তৃণমূল আর কেন্দ্রে বিজেপি, মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।

বিজেপি সম্বন্ধে অধীর চৌধুরী বলেন যে ঢপের কীর্তন শুনেছেন তো বিজেপির এই ঢপের কীর্তন হচ্ছে এনআরসি। বলেন এই এনআরসি ৫১ সালে আসামে শুরু হয়েছিল তার উদ্দেশ্য এটাই ছিল স্থানীয় মানুষ আর বহিরাগতদের মধ্যে সংখ্যা নির্ণয় করা। স্থানীয় মানুষ হিন্দু মুসলমান সবাই দাবি করেছিল বহিরাগত যাদেরকে আসামে এনে ব্রিটিশ বসেছিল সেটা ছিল আসাম কেন্দ্রিক বিষয় ।সেটিকে রাজনৈতিক রং চড়িয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে গেল যার ফল আজ গোটা ভারতবর্ষে অশান্তির আগুন জ্বলছে।