অবতক খবর,৬ অক্টোবর: সাড়ে ১৯ ঘন্টা পর মধ্যমগ্রাম মাইকেল নগরের বাড়ি থেকে ইডি আধিকারিকরা বের হল।ইডি আধিকারিক রা বাড়ি ছেড়ে বেরাবার সময় একদিকে যেমন রথীন ঘোষ জিন্দাবাদ স্লোগান হচ্ছিলো পাশাপাশি ইডি আধিকারিক রা বেরাবার সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।এক নাগারে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা স্লোগান তুলতে থাকে।বাড়ি বাইরে বেড়িয়ে কিছুটা দলের কর্মী সমর্থকদের সামলাতেও দেখা গেলো মন্ত্রী রথীন ঘোষ কে।
এবার প্রশ্ন এত ঘন্টা অর্থাৎ প্রায় ২০ ঘন্টা ধরে ইডি আধিকারিকরা করলো টা কি? খাদ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি সংবাদমাধ্যম এর মুখোমুখি হয়ে জানান তার সাথে খারাপ আচরণ করেনি আধিকারিকরা।ইডি আধিকেরা আদালতের নির্দেশে এই তদন্ত করছে,আমাকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করেনি,১৪-১৭ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিতে তদন্ত ভার ইডির উপরে আছে,সমস্ত কিছু নিয়ে তারা তদন্ত করলেন।আধিকারিকের দেখলেন বাড়িতে কি আছে,ব্যাঙ্কে কি আছে দেখেছেন।পুরোটাই নাটক করার জন্যে,১৪-১৭ সাল পর্যন্ত যেহেতু রথীন বাবু মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন সেই কারণেই ইডির তার বাড়িতে আসা।এর আগে পুরসভা এসেছিলো ইডি,প্রত্যেক পুরসভা গুলোকেই চিঠি দিয়েছিলো ইডি যে নিয়ো প্রক্রিয়া কিভাবে হয়েছিলো এই সময়ে। তবে পৌর নিয়োগ নিয়ে তাদের বোঝার ক্ষেত্রে অনেক গোলযোগ আছে কারণ তারা এতদিন যেভাবে বলছিলো বা হাইকোর্টও যা বলেছে তা মন্ত্রীর মনে হয়নি সঠিক ভাবে হয়েছে।মন্ত্রী আইনের কিছু ধারা নিয়েও ইডি আধিকারিক দের জানিয়েছেন, তিনি নিজেও একটা বই দিয়ে আধিকারিকদের সহযোগিতা করেছেন তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে।এবং মন্ত্রীর পরামর্শ যেখানেই যা করুক ইডি তা যেনো আইন যেনে বুঝে করেন।আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বলতে,যেহেতু রথীন বাবু রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী,তাই তার বাড়িতে ইডি গেছে মানে মানুষের ধারণা হবে খাদ্যমন্ত্রী হিসাবে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আছে,আসলে ইডির তদন্তের উদ্দেশ্য ১৪-১৭ সালে পুরসভায় যে নিয়োগ হয়েছে সেই সময় যারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছিলেন,অর্থাৎ যারা চেয়ারম্যান ছিলেন,যারা এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন তাদের সকলের বাড়িতে তারা একই সময়ে তদন্তে এসেছেন কারণ কেউ কারোর কাছে কোন খবর পাস অন না করতে পারে। তার বাড়ি থেকে কোনো নথি পাইনি বলে দাবি খাদ্য মন্ত্রীর। তবে এই তদন্তে ইডি সন্তুষ্ট না অসন্তুষ্ট তা মন্ত্রী বলতে পারবেন না,তবে মন্ত্রীর কাছে যা জানতে চেয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা তা সম্পুর্ন সহযোগিতা করেছেন বলেই জানান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।