অবতক খবর,৪ সেপ্টেম্বরঃ দুর্নীতির দায়ে সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানি। তাঁকে ৫ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোল আদালত। শুক্রবার হালিশহর পৌরসভার চেয়ারম্যান রাজু সাহানিকে তাকে তার নিউ টাউনের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁর বাড়ি থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। নিউ টাউনের ফ্ল্যাট ছাড়াও হালিশহরে তাঁর নিজের বাড়ি ও অন্যান্য জায়গা থেকে বিপুল টাকার সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে।
নিউটাউনের পাশাপাশি এই রাজ্য এবং বেঙ্গালুরুতে মোট ৩টি ফ্ল্যাটের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। সিটিসেন্টার ২ এর সামনে একটি দোকান রয়েছে। নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ২-এ ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। সেখানে একটি আবাসনের বারোতলায় থাকেন রাজুর স্ত্রী ও সন্তান। জানা গেছে ওই আবাসনের এক একটি ফ্ল্যাটের দাম কোটি টাকার উপরে। এইরকম একটি আবাসনের ৯ তলাতেও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
কিন্তু কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক রাজু সাহানি?
তাঁকে আসানসোলের আদালতে তোলা হলে তাঁর আইনজীবী বলেন, রাজু সাহানি নিজে একজন ব্যবসায়ী। তাঁর পরিবারের অনেকেই ব্যবসায়ী। তাঁর নিজের ৭-৮টি কোম্পানি রয়েছে। ফলে তাঁর বাড়িতে ওই নগদ টাকা পাওয়া আশ্চর্য কিছু নয়।
একসময়ের হালিশহরের দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন লক্ষ্ণণ সাহানি। লোহার ব্যবসা করতেন তিনি। সিপিএমের টিকিটে কাউন্সিলরও হয়েছিলেন। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ২০১০ সালে হালিশহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন লক্ষ্ণণ সাহানি। ২০১২ সালে হালিশহর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে সেই জায়গাটা দখল করেন লক্ষ্ণণ সাহানির ছেলে রাজু সাহানি।
২০১৫ সালে হালিশহর পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জেতেন রাজু সাহানি। ২০২১ সালে ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেন তিনি।
করোনাকালীন সময়ে অর্থাৎ ২০২০ সালে হালিশহর পৌরসভার নির্বাচন করানো সম্ভব হয়নি। তখন পৌর প্রশাসক হিসেবে চেয়ারম্যান অংশুমান রায় কিছুদিন দায়িত্বে ছিলেন। তারপর সেখান থেকে তিনি সরে আসেন। এরপর পৌর প্রশাসকের সেই জায়গা দখল করেন রাজু সাহানি। পরবর্তীতে নির্বাচন হলে, চেয়ারম্যান হন তিনি।